যীশু কি সত্যিই মৃতদের মধ্য থেকে জীবিত হয়েছিলেন?
লেখকঃ- এসো বাইবেল শিখি/ শিখুন।
আমরা যখন প্রভু যীশুর মানবজাতির পাপ হইতে মুক্তির শুভ সন্দেশ/সুসমাচার শুনাই। আর আনন্দের সহিত চিৎকার সহকারে বলি প্রিয়, বাইবেল বলে এই জগতের সকল মানুষ পাপি। আর পাপি মানুষের ফলেই এই জগতে পাপ পরিপূর্ণ। পাপের ফলেই মানুষ হয়ে উঠেছে স্বার্থপর, অর্থলোভী, দাম্ভিক, উদ্ধত, অশ্লীল, পিতা মাতার অবাধ্য, অকৃতজ্ঞ, নির্মম, আপোষবিরোধী, অপবাদদানকারী, নিষ্ঠুর, বিশ্বাসঘাতক ইত্যাদি ইত্যাদি। জগতে শান্তির লেশমাত্র নেই। জগতে সমাজের প্রত্যেকটি জায়গায় দেখলেই, দেখতে পাওয়া যায় যেন অশান্তির আগুন।
আমরা যখন প্রভু যীশুর মানবজাতির পাপ হইতে মুক্তির শুভ সন্দেশ/সুসমাচার শুনাই। আর আনন্দের সহিত চিৎকার সহকারে বলি প্রিয়, বাইবেল বলে এই জগতের সকল মানুষ পাপি। আর পাপি মানুষের ফলেই এই জগতে পাপ পরিপূর্ণ। পাপের ফলেই মানুষ হয়ে উঠেছে স্বার্থপর, অর্থলোভী, দাম্ভিক, উদ্ধত, অশ্লীল, পিতা মাতার অবাধ্য, অকৃতজ্ঞ, নির্মম, আপোষবিরোধী, অপবাদদানকারী, নিষ্ঠুর, বিশ্বাসঘাতক ইত্যাদি ইত্যাদি। জগতে শান্তির লেশমাত্র নেই। জগতে সমাজের প্রত্যেকটি জায়গায় দেখলেই, দেখতে পাওয়া যায় যেন অশান্তির আগুন।
Image by: freepik |
সবাই শান্তি চায়, কিন্তু শান্তির কতজন পায় কি? বাইবেল বলে যে অনন্ত জীবন সেই শান্তির চেয়ে অনেক বেশি মূল্যবান। সেই অনন্ত জীবন মানুষ পাপের ফলস্বরূপ হারায়। কারণ পাপের ফল মৃত্যু। কিন্তু ভাল খবর হল; আপনার এই পাপের বোঝ থেকে উদ্ধার করার জন্য আজ থেকে প্রায় ২০০০ হাজার বছর পূর্বে এই জগতের সৃষ্টিকর্তা জন্ম নিয়েছিলন। তিনি মানব শরীর ধারন করে এই জগতে জন্ম নিলেন যার নাম পুএ যীশু। তিনি নির্দোষ হয়ে আমার, আপনার পাপের জন্য ক্রুশে জীবন দেন, এবং কবর প্রাপ্ত হন, পরে তিন দিন পর কবর থেকে জীবিত হয়ে উঠেন। কারণ তিনি ঈশ্বরের ছিলেন, ঈশ্বরের কোন মৃত্যু হয় না তা তিনি পুনর্জীবিত হয়ে প্রমাণ ও করেন। এই কথা লোকদের বললে তারা বলে এটা আবার কেমন ধরনের কথা যে, এক ব্যক্তি মারা গেল, পরে পুনরায় তিন দিন পরে জীবিত হয়ে উঠল এটা কি করে সম্ভব? তখন অনেকে বলে আপনি কি গল্প শুনাছেন? আপনি কি বোঝাতে চাইছেন? এটার কি প্রমাণ দিতে পারেন? এই রকম নানা প্রশ্নের মুখে সম্মুখীন হতে হয়। আমরা আদৌও যীশু মৃত্যু থেকে জীবিত হয়ে উঠেছেন কি না তা প্রমাণ বাইবেল ও ইতিহাসবেত্তাদের তথ্য থেকে দেখব। তো চলুন সরাসরি আলোচনায় চলে যাই।
যীশুর পুনরুত্থান/ জীবিত পবিত্র বাইবেল প্রমাণ (Jesus resurrection evidence in Bible)
প্রথমতঃ বাইবেলে যীশুর মৃত্যু থেকে জীবিত হয়ে উঠার প্রমাণ রয়েছে। প্রেরিত পুস্তক লেখক লূক যীশুর মৃত্যু থেকে জীবিত হয়ে উঠার প্রমাণ দেন। যেমন এই বাক্যেয় বলা হয়েছে; (প্রেরিত ১:৩ BENGALCL-BSI) প্রেরিত পৌল ও যীশু মৃত্যু থেকে জীবিত হয়ে উঠার প্রমাণ দেন যেমন এই বাক্য বলে; (১ করিন্থীয় ১৫:৩-৭) এমনকি স্বয়ং পৌল মৃত্যু থেকে জীবিত উঠা যীশুর দেখা পেয়ে ছিলেন যেমন এই বাক্যেয় পৌল বলেছেন; (প্রেরিত ৯:৫) যেমন বতর্মান দিনে লোকে প্রভু যীশুর মৃত্যু থেকে জীবিত হয়ে উঠা নিয়ে বিশ্বাস করে না, ঠিক তদ্রূপ পৌলের সময়েও প্রভু যীশু মৃত্যু থেকে পুনর্জীবিত হয়ে উঠা নিয়ে লোকে বিশ্বাস ও করত না। তখন পৌল এক নিগড় তথ্য বুঝিয়ে ছিলেন যা এই বাক্যে বলা হয়েছে (১ করিন্থীয় ১৫:১৩-১৭)
এই বাক্যে, সাধু পৌল স্পষ্টভাবে বলেছেন যে, প্রভু যীশু খ্রীষ্ট যদি মৃতদের মধ্য থেকে জীবিত না হয়ে থাকেন, তবে আমাদের বিশ্বাস কিছুই নয়। পৌল এখানে যা বলছেন তা হল হ্যাঁ, প্রভু যীশু মৃতদের মধ্য থেকে পুনরুত্থিত হয়েছেন৷ এই বাক্যেয় পৌল এটা বোঝাতে চাইছিলেন, প্রভু যীশু যা বলেছিলেন যে সমগ্ৰ মানব জাতির জন্য নিজে বলিকৃত হবেন, আর তিন দিন পর পুনরায় জীবিত হয়ে উঠবেন। যদি প্রভু যীশু জীবিত হয়ে না উঠতেন তবে মিথ্যা বলে প্রমাণিত হতেন। এবং যদি পভু যীশু জীবিত না হয়ে উঠতেন তবে তো আমাদের প্রচার করাও মিথ্যা বলে গণিত্য হত। আর তোমরাও নিজের নিজের পাপে ডুবে থাকতে। কিন্তু এখন প্রভু যীশুর মৃত্যু থেকে পুনর্জীবিত হয়ে উঠেছেন। তো এই কথা সত্য যে প্রভু যীশু এখন তোমাদের পাপকে ক্ষমা করতে পারে যদি তাকে বিশ্বাস করে গ্ৰহণ কর।
যীশুর পুনরুত্থানে/ জীবিত ঐতিহাসিক প্রমাণ (Historical Evidence of jesus' Resurrection in Bengali)
দ্বিতীয়তঃ যীশুর সময় থাকা প্রসিদ্ধ ইতিহাসবেত্তারাও যীশুর মৃত্যু থেকে পুনর্জীবিত হয়ে উঠার প্রমান দিয়েছেন/ ইতিহাসের পাতায় বর্ণিত রয়েছে যেমন Flavius Josephus যিনি খ্রিস্টান তো ছিলেন না। তিনি যিহুদীদের ইতিহাসবিদ্য ছিলেন। তিনি Antiquities of the Jews পুস্তকে যীশু সম্পর্কে এইভাবে লিখেছিলেন; সেই সময় যীশু নামে একজন জ্ঞানী ব্যক্তি ছিলেন। তাঁকে যদি মানুষ বলা যায়। কারণ তিনি অদ্ভুত উপদেশ দিতেন, যা শুনে মানুষ সত্যকে গ্রহণ করতেন। তিনি অনেক ইহুদি/ যিহুদী এবং গ্ৰীকদের মন জিতে ছিলেন/ জয় লাভ করে ছিলেন। যখন যিহুদীদের প্রধান অধ্যাপক, যাজক দ্বারা তাঁর প্রতি দোষ আরোপ করা হয়, তো পীলাত তাঁকে ক্রুশে দিয়ে দেন। কিন্তু যারা যীশুকে প্রেম করতেন তারা তার প্রতি তাদের প্রেম ছাড়েননি। যেই রকম ঈশ্বরের ভবিষ্যতদাতা লিখে ছিলেন যীশু তৃতীয় দিনে পুনর্জীবিত হয়ে উঠবেন, ঠিক তদ্রূপ তিনি তৃতীয় দিনে মৃত্যু থেকে জীবিত হয়ে উঠেন। এবং তাঁর প্রিয়জনদের সাথে কিছু সময় কাটান, এতে বহু লোক অবাক হয়ে যান। যার কারণ Christianity শুরু হয়ে যায়, অর্থাৎ বিশ্বাসীদের এক নতুন সম্প্রদায়ের জন্ম হয়। যা এখন পর্যন্ত চলছে। এই ভাবে Flavius Josephus লিখে ছিলেন।
রোমান ঐতিহাসিক Tacitus তাঁর পুস্তক Annals (c. AD 116), book 15, chapter 44. একই কথা বলেছিলেন; টাইবেরিয়াসের পন্তীয় পীলাতের রাজত্বের সময় যীশুকে ক্রুশ বিদ্ধ করা হয়েছিল, যা থেকে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের উৎপত্তি ঘটে।
বাইবেলের ইতিহাসে এবং নিরপেক্ষ ইতিহাসে উভয় স্থানেই যীশু খ্রীষ্টের অস্তিত্ব সম্পর্কে অভাবনীয় প্রমাণ রয়েছে। তবে সম্ভবত যীশুর অস্তিত্ব সম্পর্কিত সবচেয়ে বড় প্রমাণ হচ্ছে, প্রথম শতাব্দির হাজার হাজার খ্রীষ্টয়ানেরা এবং তাঁর বারোজন শিষ্যেরা, যারা যীশু খ্রীষ্টের জন্য জীবন দিয়ে শহীদ হতেও পিছপা ছিল না। লোকেরা যা সত্যি করে বিশ্বাস করে, তার জন্য মৃত্যুবরণ করতে পিছপা হয় না, কিন্তু কেউই না জেনে কোন মিথ্যা কিছুর জন্য মরতে আগ্রহী হবে না। আমরা বুঝতে পারি লোকদের প্রশ্নকে কারণ মানব ইতিহাসে এই রকম ঘটনা নাই বা পূর্বে হয়েছে, নাই বা এখন হয়েছে। শুধুমাত্র মানব ইতিহাসে একবার এই ঘটনা হয়েছ। সুতরাং বাইবেল ও ইতিহাস থেকে প্রমাণিত হয় যে যীশু মৃত্যু থেকে জীবিত হয়ে উঠেছেন।
0 মন্তব্যসমূহ
আপনাদের কিছু প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই
আমাদের জানান।
ধন্যবাদ ।