Header Ads Widget

Responsive Advertisement

খ্রিস্টানদের কি প্রমিজ ডে পালন করা উচিত?| Should Christians celebrate Promise Day?

খ্রিস্টানদের কি প্রমিজ ডে পালন করা উচিত?

লেখকঃ- এসো বাইবেল শিখি/ শিখুন।

আজকের এই বিষয় বস্তু তেমন একটি গুরুত্বপূর্ণ নয়। কিন্তু তবু ও বিষয়টিকে পোস্ট করা হয়েছে, কারণ এই দিনটি ভালোবাসার দিনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। এই দিন প্রেমিক প্রেমিকাদের জন‍্য কত মহত্ব রাখে তাও প্রদর্শন করে। এই বিষয় বস্তু অনুসরণ করার পূর্বে অনুগ্ৰহ করে পাঠক-পাঠিকরা আপনারা পূর্বের আর্টিকেল গুলি অনুসরণ করুন যেখানে; রোজ ডে,‌‌‌‌‌ প্রপোজ ডে, চকোলেট ডে, টেডি ডে সম্পর্কে বাইবেল ভিত্তিক বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হয়েছে, উওর জানতে লিঙ্ক গুলি দেখুন।

Photo by Gabor Karacsony

১১ ফেব্রুয়ারি প্রমিজ ডে কি?

এই দিন একজন প্রেমি তাঁর প্রিয়তমকে প্রতিশ্রুতি দেয় যে, আমি তোমায় যুগ-যুগ ধরে ভালোবাসব।আমি তোমার সব খেয়াল, খুশি রাখব/দিব। আমি তোমায় ছাড়া বাঁচাতে পারব না। তুমি আমার জান। ভালোবাসার নিবিড় অনুভূতি প্রকাশ করাকে সাধারণ ভাষায় একেই প্রমিজ ডে বলা হয়। মিথ‍্যা প্রতিশ্রুতির একটি ধাপ। এই সব কথা শুনে অন্ধ প্রেমিরা ও বিশ্বাস করে ন‍্যায় যে, হাঁ সে আমায় নিয়ে অনেক কেয়ার করে। তখন দুই প্রেমি প্রেমের সাগরে ভেষে বেড়ায়। আপনি ভাবুন তো এই প্রতিশ্রুতি কতটা পরিপক্ক কি? আদৌও কি একজন প্রেমি তার প্রিয়তমের প্রতি এতো খেয়াল, খুশি ও প্রেম কি বোজায় রাখেন?

ভালোবাসার প্রেমিদের কাছে এখন ভাবার সময় নেই, কারণ তারা এখন মুক্ত আকাশে উড়ে বেড়াছেন। আপনাদের বলি এটিতে কোন পরিপক্ক প্রতিশ্রুতি নেই মিথ্যার প্রতিশ্রুতি। মিথ‍্যা প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে নিজেরা নিজেদের শারীরিক আশা-আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ করা হয়। কাহিনীতে টুইস্ট তো তখন শুরু হয়, যখন এই প্রেমের মধ্য তৃতীয় পক্ষ উপস্থিত হয়। বা নিজের আপন জনকে ছেড়ে অন‍্য জনের প্রতি মন আনাগোনা শুরু হয়ে যায়। এই প্রতিশ্রুতি তখন হাওয়া হয়ে যায়‌। হয়ত এখানে কিছু পক্ষ বলতে পারে যে নানা আমি সেই রকম নই‌। আমরা সেই প্রেমিককে জিজ্ঞাসা করতে চাই তবে আপনি কেমন কি? এমনিতে আপনি ভূলই আছেন আবার বলছেন নানা আমি সেই রকম নয়। আমরা বলব আপনি বাইবেল পড়ুন তার পর নানা শব্দ প্রয়োগ করুন। বাইবেলে হিসেবে কোন ভাবে একজন যুবক ও যুবতী বিয়ে করা পূর্বে ঘনিষ্ঠ হওয়া উচিত নয় যেমন বাক্য বলে; (১ তীমথিয় ৪:১২)। আপনারা দেখলেন জাগতিক প্রমিজ ডে (প্রতিশ্রুতি দিবস) দিয়ে শুধুমাত্র শারীরিক আশা আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ হয়।

ঈশ্বর Promise/প্রতিশ্রুতি। 

আপনি যদি ঈশ্বরের প্রতিশ্রুতি দেখেন প্রত‍্যকটি প্রতিশ্রুতি পূর্ণতা পেয়েছে। হয়তো এখন ও কিছু প্রতিশ্রুতি পূর্ণতা লাভ করেনি তা বলে এটি নয় যে সেই সব প্রতিশ্রুতি পূর্ণতা পাবে না। নিশ্চয় পাবে। কেন পূর্ণতা পাইনি এই বাক‍্যের কারণে উদাহরণ স্বরূপ এই বাক্য গুলি  দেখুন যথা; (২ পিতর ৩:৯১ তীমথিয় ২:৪যিহিস্কেল ১৮:২৩যিহিস্কেল ১৮:৩২, যোহন ৩:১৭)। ঈশ্বরের সবচেয়ে বড়ো প্রতিশ্রুতি যা আমাদের আদি পিতা-মাতাকে মানে আদম ও হবাকে দিয়ে ছিলেন। যেটিকে বাইবেলের প্রথম সুসমাচার ও বলা হয় যথা; (আদিপুস্তক ৩:১৫)। এই বাক‍্যে স্বয়ং ঈশ্বরের পুএ মধ্য দিয়ে পূর্ণতা লাভ করেছিল যেমন বাক্য ও বলে; (লূক ২:৭)। 

এখন আপনার প্রশ্ন জাগতে পারে। আপনি জাগতিক Promise/প্রতিশ্রুতি ও ঈশ্বরের Promise/প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে কি বোঝাতে চাইছেন কি? খুব ভালো প্রশ্ন। আমরা আপনাদের প্রশ্নকে আদর করি। হ্যাঁ আমরা এটিই চাই ছিলাম যেন আপনাদের মনে মধ‍্য প্রশ্ন আনগোনা হয়ে উঠুক। উওরটি পরিস্কার যে আপনারা জাগতিক প্রেমের প্রতিশ্রুতি ও আত্মিক/ঈশ্বরের প্রেমের প্রতিশ্রুতি পার্থক্য বুঝুন। কোনটি পরিপক্ক প্রতিশ্রুতি ও সেই প্রতিশ্রুতির প্রতি কি আশা রাখে‌? আশা করি উওর সুস্পষ্ট। তবেও কিছুটা পার্থক্য বলি।

জাগতিক প্রতিশ্রুতি মিথ‍্যা হয়। আর ঈশ্বরের প্রতিশ্রুতি কখন মিথ‍্যা হয় না।

জাগতিক প্রতিশ্রুতি ব‍্যভিচার বেশী হয়। আর ঈশ্বরের প্রতিশ্রুতিতে ব‍্যভিচার হয় না। বরং ব‍্যভিচার থেকে দূর করে।

আমাদের খ্রিষ্টীয়ত যুবক-যুবতীগণদের এমন ভাবে আপনজনদের জাগতিক প্রতিশ্রুতি মন, প্রানে ভেদ করে ঢুকে যায় যে তখন ঈশ্বরের প্রতিশ্রুতি ও ভূলে যায়। যা তিনি বাইবেলে বলেছিলেন যথ; (মথি ২৮:২০ইব্রীয় ১৩:৫যিশাইয় ৪৯:১৫)। বাইবেল কোথাও লেখা নেই বা নিদের্শ ও করা হয়নি যে যাও কোন একজন যুবক ও যুবতীতে ভালো লাগলে গোলাপ ফুল দিয়ে দাও, বা নিজের নিজের প্রেমিক ও প্রেমিকা গোলাপ ফুল দাও তার পর প্রোপোজ কর। প্রপোজ স্বীকার করলে চকলেট খাইয়ে দাও। তার পর মন জয় করার জন্য বা সহানুভূতি দেওয়ার জন টেডি বিয়ার (পুতুল ভাল্লুক) দিয়ে দাও‌। তার পর  যুগ-যুগান্তর ধরে ভালোবাসার কথা দাও যে, আমি তোমায় অনেক ভালোবাসি, তোমাকে ছেড়ে যাব না ইত‍্যাদি ইত্যাদি। ঈশ্বর তাঁর প্রতিশ্রুতি মাধ্যমে আপনার কাছে একটি বিষয় চান, তাহলে আপনি মেন জীবন্ত ঈশ্বর সদাপ্রভুর সুসমাচার প্রচার করুন। যেই সুসমাচার শুনে লোকেরা পরিত্রাণ পাবে যেমন বাক্য বলে; (মার্ক ১৬:১৫-১৬)। 



বিঃদ্রঃ- বিশ্বাসী যুবক-যুবতীগণদের G.F & B.F ব্যস্ততায় জীবন অতিবাহিত করা উচিত নয়‌। 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ