কে ঈশ্বরকে সৃষ্টি করেছেন?
লেখকঃ- এসো বাইবেল শিখি/ শিখুন।
আজকের টপিকটি নিজেই খুবই গুরুত্বপূর্ণ তাই সরাসরি বিষয় বস্তুটি বাইবেল ভিওিক দেখে নেওয়া যাক।
এই পোস্টে - এর লেখক আমি অর্থাৎ সোমায় মুর্ম্মু। আমি যখন শিশু ছিলাম, তখন এই ধরনের নানা প্রশ্ন বারবার আমার মনে নাড়া দিয়েছে। তাছাড়া আজ থেকে প্রায় ১৪-১৫ বছর পূর্বে তখন বাইবেলের বাক্যেয় আমি তেমন পরিপক্ক ছিলাম না। এবং বাক্যেয় বাড়ছিলাম তখন যে প্রশ্নটি আমাকে খুব উদ্বিগ্ন করেছিল তা হল ঈশ্বর কে সৃষ্টি করেছেন? ঈশ্বর কোথায় থেকে আসল? ঈশ্বর যদি বাস্তব হন তাহলে তিনি অবিলম্বে অন্যায়, অত্যাচার বা নিপীড়ন বিরোধিতা করেন না বা অপরাধীদের শাস্তি দেন না কেন? ঈশ্বর যদি সত্যিই থাকেন তাহলে কেন কেউ ধনী ঘরে জন্ম নিয়ে সারা জীবন স্বাচ্ছন্দ্যে কাটিয়ে দেয়, অথচ কেউ রাস্তায় জন্মে রাস্তায় না খেয়ে মারা যায়? এই রকম হাজার প্রশ্ন ও যুক্তি আমায় উদ্বিগ্ন করে ছিল। তো ঠিক তদ্রুপ নাস্তিক, নাস্তিক বলতে যারা সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস করেন না তারাই হল নাস্তিক। তারা সাধারণভাবে যুক্তি দেখিয়ে বলেন যে, যদি সব কিছুর কারণ থাকে, তাহলে ঈশ্বরের অস্তিত্বের কারণ থাকতে হবে।
Image by: Freepik |
যদি ঈশ্বর যে আছেন তার কোন কারণ দেখাতে হয়, তাহলে তো ঈশ্বর আসলে ঈশ্বর নয়। আর যদি ঈশ্বর আসলে ঈশ্বর না হন, তাহলে অবশ্যই ঈশ্বর বলে কেউ নাই। তবে, এই মৌলিক প্রশ্নের থেকেও সূক্ষ্ম হল, “ঈশ্বরকে কে সৃষ্টি করেছেন?” তো এই ভাবে নানা প্রশ্ন করে নাস্তিক ও সন্দেহবাদীরা মাঝে মাঝে এই সকল প্রশ্নের উত্তর কিছু বিশ্বাসীদের কাছে অনেক সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। কিছু বিশ্বাসী উওর দিতে পারেন না হতভম্ব হয়ে যান, তো এখন আমরা বাইবেল হিসাবে দেখবো ঈশ্বর কে সৃষ্টি করেছেন বলে! বাক্য কি বলে এই বাক্যে দেখুন যথা; (যাত্রাপুস্তক ৩:১৪)।
এই বাক্যেটিতে ঈশ্বর নিজের সম্পর্কে বলেছেন, “আমি যা আছি, তাই আমি” এই বাক্যের হিসেবে যদি একজন সাধারন মানুষ এই কথা বলে তাহলে তার কোন মানে নেই। কারণ এই পৃথিবীতে সবকিছুই আছে এবং পরিবর্তন ঘটে যেমন; মানুষ ধীরে ধীরে শিশু থেকে যুবক হয়, যুবক থেকে প্রাপ্ত বয়স্ক হয় এবং প্রাপ্ত বয়স্ক থেকে একদিন বৃদ্ধ হয়। তাহলে যখন কেউ বলেন “আমি যে আছি, সেই আছি;” তাহলে সেটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন কারণ সেই ব্যক্তি এখন আগের মতো আর শিশু নেই। হয়তো সে যুবক হয়েছে, নয়তো বা সে বৃদ্ধ হয়ে গেছে। যদি কেউ এই শব্দটির “আমি যা তাই আছি” এই কথার যিঁনি ব্যবহারের যোগ্য তিঁনি স্বয়ং ঈশ্বর। কারণ তিঁনি কখনো বদলায় না। ঈশ্বর স্ব-অস্তিত্বশীল। ঈশ্বর সৃষ্টির মধ্যে প্রবেশ করেন না। ঈশ্বর সময় বাইরে, সৃষ্টির মধ্যে ঈশ্বরকে অন্তর্ভুক্ত করা যায় না। এখানে আবার অনেক লোক প্রশ্ন তুলে মানে যারা বাইবেল বিরোধী লোক। তারা বলে ভাই, আপনারা তো বলেন মানে খ্রীষ্টানরা বলে যীশু-ই ঈশ্বর। তখন তারা বাইবেলকে ভুল প্রমাণ করার জন্য বলে, যীশু যদি আপনাদের ঈশ্বর হন তাহলে ঈশ্বরকে সৃষ্টি করা হয়েছে, এই কথাকে প্রমাণ করার তারা বাইবেলের কিছু বাক্যের সাহায্য নিয়ে বসে। আর বলে আপনাদের বাইবেলে যীশুকে সৃষ্টি করা হয়েছে। সমালোচকদের কি সেই বাক্য একটু দেখে নেওয়া যাক। হয়তো আজকে এই বাক্যের বিষয়ে আলোচনা তো করা হবে না, তবু এই বাক্যে দেখুন; (কলসীয় ১:১৫)।
সেই ভণ্ড লোকেরা এই বাক্য দেখিয়ে বলে বেড়ায় দেখো, তোমাদের বাইবেলে তো যীশুকে সর্বপ্রথম সৃষ্টি করা হয়েছে। তারা বলে তার মানে তো এটাই দাঁড়ালো যে, ঈশ্বর সৃষ্টি মধ্যে পড়ে। তখন তারা নানা ভ্রান্ত ধারণা ছড়িয়ে দেয়। বলে এই খ্রীষ্টানদের কোন আগাগোড়া নেই। খ্রিষ্টানরা একবার বলে যীশু-ই ঈশ্বর আবার বলে ঈশ্বর সৃষ্টি মধ্যে পড়ে না। এরা কি সব যে বলে এদের কোন ঠিক নেই। তখন তারা নিজেদের ধর্মকে শ্রেষ্ঠ দেখার জন্য লেগে পড়ে যায়, আর বলে দেখো আমাদের ধর্মে কোন খ্রীষ্টানদের মতো গোজামিল নেই। আমাদের ধর্ম্ম একমাত্র সত্য ধর্ম্ম। এই বাক্যের সম্পর্কে খুব শীঘ্রই আমরা আলোচনা করবো তো আমরা দেখছিলাম ঈশ্বরের অস্তিত্ব স্বয়ং থেকে। তিনি সৃষ্টি মধ্যে পড়ে না যেমন আরও কিছু বাক্য দেখুন; (গীতসংহিতা ৯০:২ SBCL, যিশাইয় ৪০:২৮, যিশাইয় ৪৪:৬, যিশাইয় ৪৮:১২, ইব্রীয় ১৩:৮, যিহূদা ১:২৫, প্রকাশিত বাক্য ১:৮, প্রকাশিত বাক্য ২২:১৩)।
এই রকম বহু বাক্য দ্বারা প্রমাণিত করা যায় যে স্পষ্টতই, তিঁনি একা প্রথম থেকে অস্তিত্বে রয়েছেন। তাঁকে সৃষ্টি করা যেতে পারে না; এমন কোনো কিছুই অস্তিত্বে ছিল না, যা তাঁকে সৃষ্টি করতে পারত। ঈশ্বর যে-অনন্তকাল ধরে রয়েছেন, তা বোঝা হয়তো কঠিন হতে পারে, তবুও এই ধারণাটা অবাস্তব নয়। অন্য কেউ যদি ঈশ্বরকে সৃষ্টি করত, তাহলে তিঁনি সৃষ্টি হয়ে যেতেন। কিন্তু বাইবেল জানায়, ঈশ্বর হলেন সেই ব্যক্তি, যিঁনি ‘সকলের সৃষ্টি করেছেন। এই চিরকালের অস্তিত্ব সম্পন্ন কিছুকে আমরা বলি ঈশ্বর। ঈশ্বর হচ্ছেন কারণহীন কোন কিছু বা অস্তিত্ব, যাঁর দ্বারা সবকিছুই অস্তিত্বপ্রাপ্ত হয়েছে। ঈশ্বর স্রষ্টা, কিন্তু সৃষ্ট নন, বরং তিঁনি মহাবিশ্ব এবং এর মধ্যে থাকা সবকিছু সৃষ্টি করেছেন।
ভিডিও দেখুন 👇
Courtesy:- Glory Apologetics YouTube channel
ঈশ্বর সকলকে বোঝার মতো জ্ঞান প্রদান করুন।
আমেন।।
0 মন্তব্যসমূহ
আপনাদের কিছু প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই
আমাদের জানান।
ধন্যবাদ ।