খ্রিস্টান মহিলাদের কি সিঁন্দুর পরা উচিত?
লেখকঃ- এসো বাইবেল শিখি/ শিখুন।
আমরা দেখেছি এই বিষয় নিয়ে আমাদের খ্রিষ্টীয় সমাজে ও নানা মতভেদ তৈরী হয়। কিছু পক্ষ বলে এটি পরিধান করা উচিত, আবার কিছু পক্ষ বলে নানা এটি পরিধান করা উচিত নয়। এই বিষয় বস্তু সম্পর্কে নানা প্রশ্ন থেকে যায় তবে উওর কি হতে পারে কি? উওর হাঁ কিনা তার পূর্বে আমাদের এই বিষয়কে নিয়ে জানা প্রয়োজন যে, সিঁন্দুর কি? আর বাইবেলের পরিভাষায় দেখা প্রয়োজন।
সিঁদুর কি?
সিঁন্দুর হিন্দু ধর্মের নারীদের বিবাহিতর প্রতীক। এটি সাধারণত মেয়েদের সিঁথিতে একপ্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত অবধি প্রসারিত টীকা বা কপালে টিপের আকারে ব্যবহৃত হয়। হিন্দু মতে বিবাহের সর্বশেষ শাস্ত্রীয় রীতি হল বর (স্বামী) কর্তৃক কন্যার (নববধু) কপালে সিঁদুর লেপন করে দেন। নারীরা স্বামীর মঙ্গল কামনায় পুরো বৈবাহিক জীবনে সিঁদুর পরে থাকেন। হিন্দুদের বিশ্বাস অনুযায়ী অবিবাহিত মেয়েদের সিঁথিতে সিঁদুর পরা নিষিদ্ধ। বিধবাদের সিঁদুর ব্যবহার শাস্ত্রমতে নিষিদ্ধ। হিন্দুদের বিশ্বাস অনুসারে সিঁদুর স্বামীর মঙ্গল ও দীর্ঘায়ু হয়। সিঁদুর সাধারনত লাল রঙের হয়ে থাকে। প্রাচীন কালে হলুদ গুঁড়ো দিয়ে সিঁদুর তৈরি হতো। তারপরে তাতে লাল কালি মিশ্রিত করা হয়। হিন্দু মহিলাদের সিঁথিতে সিঁদুর ব্যবহার করার জন্য কয়েকটি কারণ রয়েছে যেমন;
১|সিঁদুর বিবাহিত প্রতীক বহন করে, সিঁদুর বলে দেয় ওই মহিলার স্বামী আছে কিনা। সিঁদুর অন্য কোনো পুরুষের লালসাময় বা কুনজর থেকে রক্ষা করে। এছাড়া সিঁদুর স্বামীর মঙ্গল প্রতীক।
২|সৌন্দর্যের কারণে হিন্দু মহিলারা সিঁথিতে সিঁদুর পরে থাকে। বিবাহিত মহিলারা সিঁদুর পরলে খুব সুন্দর দেখায়।
৩|হিন্দু মহিলাদের সিঁথিতে সিঁদুর পরা নিয়ে সাংস্কৃতিক নীতিমালা ভিন্ন কথা বলে। বিশেষজ্ঞদের মতে, লাল রঙের সিঁদুর সিঁথিতে পরিধান করা ধারাবাহিকতা আদিম উর্বশক্তির উপাসনার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। বর্তমানে হিন্দু ধর্মের নামে পরিচিত এই ধর্মের উৎপত্তি একটি কৌম সমাজে। সেখানে গাছ, পাথর, মাটি ইত্যাদি প্রাকৃতিক শক্তি প্রতীক হিসাবে বিবেচিত হয়। তাদের জন্য লাল রং ছিল সৃষ্টির প্রতীক। সেই আদি থেকেই ভারতীয়রা লাল সিঁদুর নিজেদের আদর্শ হিসেবে বেছে নিয়েছে।
সিঁদুর পরিধান করার ধার্মিক কারণঃ
- রামায়ন কালে সিঁদুর পরিধানের উল্লেখ্য রয়েছে। ভগবান শ্রীরামের পত্নী মাতা সীতা দেবী সিঁদুর পরিধান করতেন। একদিন ভগবান শ্রীরামের পরম ভক্ত হনুমান এর যখন ক্ষুধার্ত হয়ে গেলেন, তিনি খাবারের জন্য শ্রীরামের স্ত্রী সীতা দেবীর কাছে গেলেন। দেবী সিতাকে যখন হনুমান দেখেন তিনি সিঁথিতে সিঁদুর পরিধান করেছেন। দেখে হনুমান অনেক আশ্চর্য হয়েছিলেন তখন ভগবান শ্রীরামের স্ত্রী সীতা দেবীকে জিজ্ঞাসা করলেন কেন আপনি সিঁথিতে সিঁদুর পরিধান করেছেন? তখন সীতা দেবী বললেন সিঁদুর প্রয়োগ ফলে আমার প্রভুর দীর্ঘায়ু হয় এবং মঙ্গল হয় এবং প্রভু সন্তুষ্ট হন।
বিবাহিত মহিলারা সিঁদুর লাগানোর/পরিধান করার একটি কারণ হ'ল এটি একটি সুখকর মহিলার সৌন্দর্য বাড়ায়। পুরাণে সিঁদুরের লাল রঙের মাধ্যমে মাতা সতী এবং পার্বতীর শক্তি প্রকাশ করে। কথিত আছে যে সিঁদুর লাগিয়ে দেবী পার্বতী তাকে অটুট হওয়ার আশীর্বাদ করেন। সিঁদুরকে দেবী লক্ষ্মীর শ্রদ্ধার প্রতীক হিসাবেও বিবেচনা করা হয় এবং মাতাকে সিঁদুর খুব প্রিয়। লক্ষ্মীর উপাসনায় সিঁদুর ব্যবহার হয়। পুরাণে বলা হয়েছে যে দেবী লক্ষ্মী পৃথিবীর পাঁচটি স্থানে বাস করেন। যার মধ্যে প্রথম স্থানটি মহিলার প্রধান যেখানে তিনি সিঁদুর রাখেন। এটির সাথে ঘরে সর্বদা সুখ এবং শান্তি থাকে। এর কারণেই হিন্দুরা বিশ্বাস করেন মহিলারা দেবীর অবতার, তাই তারা বলে মহিলাদের অপমান করা উচিত নয়।
সিঁদুর পরিধান/লাগানোর উৎপওি একটি বিশেষ পৌরাণিক কাহিনীঃ - এটা বিশ্বাস করা হয় যে ভগবান দুটি বীরা এবং ধীরা নামক যুবক এবং যুবতী সৃষ্টি করেন। তাদেরকে সর্বাধিক সৌন্দর্য দেওয়া হয়েছিল। ধীরা চেহারাতে খুব সুন্দর ছিল এবং বীরাত বীরত্বের উদাহরণ ছিল। ভগবান উভয়কে বিবাহ করার সিদ্ধান্ত নেন। দুইজনের বিয়ে হল বিয়ের পর দুইজন একে অপরকে নিয়ে বেশ খুশি ছিল। এই দুই জোড়ার কথা সমগ্ৰ দেশে ছড়িয়ে পড়ে এবং আলোচনাও শুরু হয়। একদিন বীরা ও ধীরা শিকার করতে জঙ্গলে যায় তখন কালিয়া নামে একজন ডাকাত ধীরাকে দেখে এতে মুগ্ধ হয়ে যায়। ধীরাকে পাওয়ার জন্য কালিয়া নামক ডাকাত বীরাকে মারার জন্য পরিকল্পনা করেন।
একদিন শিকারে দেরি হওয়ার কারণে দুজনেই পাহাড়ের উপরে রাত কাটানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। ধীর যখন হঠাৎ তৃষ্ণার্ত হয়ে গেল, তখন রাতে বীরা জল আনতে রওনা দিল। জল আনতে যাচ্ছিল হঠাৎ কালিয়া নামক ডাকাত বীরাকে আক্রমন করেন ফলে বীরা ভূমিতে পড়ে যায় এবং ছটপট করতে থাকে। তখন কালিয়া নামক ডাকাত জরে জরে হাঁসতে থাকে। হঠাৎ ধীরা কালিয়া নামক ডাকাতের আওয়াজ শুনতে পায়। শুনে সেই জায়গাতে ছুটে আসে। এসে যখন দেখে বীরা আহত্য অবস্থায় ভূমি/মাটিতে পড়ে রয়েছে। দেখে তখন ধীরা ক্রোধের বশত সেই কালিয়া নামক ডাকাতকে পিছন থেকে আক্রমন করে। যখন কালিয়া নামের ডাকাতটি শেষ নিঃশ্বাস নেয়, তখন হঠাৎই বীরার জ্ঞান ফিরে আসে। ধীরার সাহস দেখে বীরা খুবই খুশি হয়েছিল এবং তিনি তার রক্ত দিয়ে ধীরার সিঁথিতে সিঁদুর ভরে দেন। এখানে থেকেই সিঁথিতে সিঁদুর পরা প্রচলিত হয়।
আপনারা দেখেলেন সিঁদুর লাগানো বা পরিধান করা এক হিন্দু নারীর বিবাহিতর প্রতীক। হ্যাঁ, এটি অন্য ধর্মাবলম্বীদের হিসাবে এটি ঠিক রয়েছে। এবং এটি তাদের দেব-দেবীদের বিশেষ মহত্ব ও রাখে। এক দিক দিয়ে দেখলে যেন মনে হয় সিঁদুর পরিধান করা বিবাহিত প্রতীক হিসাবে যেন ঠিক আছে। যেমন খ্রিষ্টানরা/বিশ্বাসীরা বিয়ে করার সময় একের অপরকে আংটি পরিধান করেন তদ্রুপ প্রতীক হিসাবে তো ঠিকই লাগে। হাঁ এটা হিন্দুদের হিসাবে ঠীক আছে কিন্তু খ্রিষ্টীয়ান/বিশ্বাসীদের হিসাবে নয়। আপনি বলতে পারেন এটা আবার কেমন ধরনের কথা কি? একবার বলছেন ঠিক আছে আর একবার বলছেন ঠিক নয়, কি বলছেন ভালো করে বলুন না। প্রিয়রা এত অধৈর্য হবেন না। আমরা আগে বিস্তারিত বোঝাব। হিন্দুদের দৃষ্টি কোন দিয়ে সিঁদুর হল স্বামীর মঙ্গল ও দীর্ঘায়ু হয় মানে তারা বিশ্বাস করেন সিঁদুর পরিধান করলে তাদের স্বামীর মঙ্গল ও দীর্ঘায়ু হয়। কিন্তু বাইবেল তো এমন কিছু শিখায় না যে, সিন্দুর পরিধান করলেই যে স্বামীর মঙ্গল ও দীর্ঘায়ু হয় বলে যেমন এই সকল বাক্যে বলে যথা; (গীত ৩১:১৯, ৩৪:৮, ৮৪:১১, ১ পিতর ২:৩)।
এই সকল বাক্য থেকে বুঝা যায় যে জীবন্ত ঈশ্বরই মঙ্গলময়। তিনিই মঙ্গল করেন। তদ্রুপ দীর্ঘায়ু সম্পর্কে বাক্য কি বলে তা জানতে এই সকল বাক্যে দেখুন; (গীত ২১:৪, ৯১:১৬ )। সুতরাং ঈশ্বরই মঙ্গল ও দীর্ঘায়ু করেন নাকি কোন মানুষের তৈরি সিঁদুর। অনেকে আবার স্বামীকে ভালোবাসার জন্য ও পরিধান করে যেন তাদের প্রেম চিরতরে অটুট থাকে। আচ্ছা যারা সিঁদুর পরিধান করেন তাদের কি স্বামীর স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া-ঝাটি বা তালাক-টালাক হয় না বলুন? নিশ্চয় হয়। আমরা দেখেছি স্ত্রীরা সিঁদুর তো ব্যবহার করেন কিন্তু তাদের স্বামীদের সঙ্গে জমে না মানে খাপ ও খায় না। আমরা অন্য লোকের উদাহরন দিব না। স্বয়ং এই আর্টিকেল লেখকের পরিবারের উদাহরণ দেওয়া হচ্ছে।
আমার পরিবার খ্রিস্টান নয়। বর্তমানে তারা খ্রীষ্টকে স্বীকার করেনি। আমার পরিবারে মেজো কাকিমা তার স্বামী অর্থাৎ আমার কাকু। তো কাকিমা সামান্য কিছু কথায় এত ক্ষুব্ধ হন যে কাকুর উপরে ও কাকিমা হাত চালাতে দ্বিধাবদ করে না অর্থাৎ কাকুর উপরে হাত উঠায়। তখন হাতে যা পায় সেটা দিয়েই মারতে শুরু করে দেয়। কাকিমা যা বলে কাকুকে সেটাতেই উঠাবসা করতে হয়। দেখে ও খারাপ লাগে কিছুই বলতে পারি না। কিছু বললে উল্টো গালিগালাজ দিয়ে বসে। তাহলে সিঁদুরে কেমন ধরনে শক্তি যে পরিধান করলেই প্রেম চিরতরে বোজায় থাকে!
স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া সব ধর্মের মধ্যে ঘটে, খ্রিস্টান কিংবা অন্য কোন ধর্মেরই হোক। আদম ও হবার পাপের ফলে এই সব সমস্যা আমাদেরকে আ-জীবন বুইতেই হবে। কিন্তু সেই সমস্যার মধ্যে থেকে কেমন ভাবে বিজয় পেতে হবে তা আপনাকে ঈশ্বর শিখিয়ে দিবেন।
সকল সমস্যার মধ্যেও ঈশ্বর একজন স্ত্রীকে আনন্দে রাখতেও পারেন বা সমস্যাকে সমাধান করেন। আপনার সমস্যা ঈশ্বরকে জ্ঞাত করতে হবে। তিনিই আপনার সমস্যার সমাধান করবেন মানুষের তৈরি কোন বস্তু বা চিহ্নতে কোন শক্তি নেই। এখন ও অনেক খ্রিষ্টীয় স্ত্রীদের (নারী) অন্ধ বিশ্বাস রয়ছে যে, সিঁন্দুর বর্জন করলে কোথায় স্বামীর কিছু না হয়ে যায়। শয়তান মন মেজাজে এমন কিছু ভরে দিয়েছে যা বলা বাহুল্য সুতরাং নির্ণয় আপনাকে নিতে হবে। আপনি বাইবেলের বাক্য হিসাবে চলতে চান নাকি জাগতিক ভাবে। তবে হাঁ একটি কথা সুস্পষ্ট করে দেওয়া ভালো হবে। যখন একজন খ্রিস্টান স্ত্রী সিঁথিতে সিঁদুর পরে কাউকে খ্রীষ্টের সুসমাচার শুনাতে চায়, তখন বিধর্মীরা সেই মহিলাকে দেখে বিভ্রান্তিতে স্বীকার হবে। যে এই মহিলাটি খ্রীষ্টিয়ান নাকি হিন্দু
একজন হিন্দু তাঁকে দেখে মনে করতে পারে ও! সে তো হিন্দু। আর হিন্দু ধর্ম শিক্ষা দেয় সকল ধর্মকে সন্মান করা উচিত, তার মানে হিন্দু হয়েও সে সুসমাচার প্রচার করছে। কিন্তু আপনি যেই কি সেই হিন্দুই তো আছেন। এখানে সুসমাচার পরিস্কার হয়ে উঠি না।
জনসংখ্যা দিক দিয়ে ভারতকে দেখলে মনে হয় ভারত হিন্দু জনবহুল দেশ। যখন কোনো খ্রিষ্টীয় বিশ্বাসী স্ত্রী (নারী) সিঁন্দুর পরে কোথাও যায় ধরুন; সেই স্ত্রীকে কেউ জানেনা তাঁকে দেখে অর্থাৎ সেই খ্রিষ্টীয় স্ত্রীকে দেখে অবিশ্বাসী বলতে পারে যে, এ হিন্দু স্ত্রী (নারী)। তখন সেই খ্রিষ্টীয় বিশ্বাসী বিবাহিত নারীকে দেখে অনেকে ভ্রান্ত ধারনা হবে। এমনকি যদি কোনো খ্রিষ্টীয় বিশ্বাসী স্ত্রী (নারী) মণ্ডলীতে সিঁন্দুর পরিধান করে আরাধনা করে, তখন সেই স্ত্রীকে দেখে কোনো দুর্বল/ নূতন বিশ্বাসী হতোভম্ব হয়ে যাবে। তখন সেই দুর্বল/ নূতন বিশ্বাসী অন্য ধর্মের কোন প্রভেদ/ পার্থক্যই দেখতে পাবে না মানে বুঝতে পারবেন না। তখন তার কাছে খ্রীষ্টীয় আর অন্য ধর্ম সমান লাগবে, সে মনে করতে পারে খ্রিষ্টীয়তে এসেও অন্য ধর্মের রিতীরিবাজ ও করা যায়। এখানে আমরা দেখতে পাচ্ছি, ওই স্ত্রী বিশ্বাসের ফলে অপর দুর্বল/ নূতন বিশ্বাসীর ভ্রান্ত জন্মাছে।
যারা সিঁন্দুর ব্যবহার করেন তাদের উদ্দেশ্য একটি সুন্দুর বাক্য। শুধু একটি নয় বাইবেলের প্রত্যেকটি বাক্যে সুন্দর। আর সুন্দুর হবেই না কেন! কারন বাইবেল স্বয়ং ঈশ্বরের নিশ্বসৃত বাক্য এবং এই পোস্ট এর উপসংহার বাক্য ও যথা; (১ পিতর ২:৫, ২:৯-১০)। এখানে বাক্য সুস্পষ্ট ভাবে বলছে, পূর্ব্বে আমরা কোন ঈশ্বরের প্রজা ছিলাম না। কিন্তু যখন প্রভু যীশুকে বিশ্বাস সহকারে গ্ৰহণ করেছি, তখন আমরা ঈশ্বরের দয়া হিসাবে ঈশ্বরের পবিএ প্রজা হয়েছি। তা আপনি পুরুষ হোক বা নারী হোক আমরা ঈশ্বরের প্রতিনিধিত্ব করি। সুতরাং একজন বিশ্বাসী স্ত্রী (নারী) নির্ণয় নিতে হবে। সে সিঁন্দুর পরিধান করে কার প্রতিনিধিত্ব করতে চায় জীবন্ত ঈশ্বরের নাকি অবিশ্বাসীদের!
ঈশ্বর সকলকে বুঝার মতো জ্ঞান প্রদান করুন।
আমেন।।
0 মন্তব্যসমূহ
আপনাদের কিছু প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই
আমাদের জানান।
ধন্যবাদ ।