মহিলাদের টিজিং সম্পর্কে বাইবেল কি বলে?// ইভ টিজিং সম্পর্কে বাইবেল কি বলে?
লেখকঃ - এসো বাইবেল শিখি/ শিখুন।
বিষয়বস্তু একটু অন্যরকম, এই বিষয়বস্তুর দেখে অনেকে ভাবতে পারেন যে, এটি আবার কেমন ধরনের বিষয়! যে, মহিলাদের টিজিং সম্পর্কে বাইবেল কি বলে? বা ইভ টিজিং সম্পর্কে বাইবেল কি বলে? এ ব্যাপারে বাইবেলের কি সম্পর্ক আছে? বহু লোক বলতে পারে, বিশেষ করে তারা, যারা আমাদের ওয়েবসাইটের নীতিগুলি পড়েছেন, অর্থাৎ আমাদের সাইটে কী ধরনের আর্টিকেল পোস্ট করা হয়! সেই নিয়মগুলি দেখেছেন। তাঁরা বলতে পারেন, এটি আপনাদের নিয়মের বিপরীত। আমাদের ওয়েবসাইটের নিয়মিত পাঠকদের উদ্দেশ্যে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে যে, আমরা আমাদের ওয়েব সাইটের শর্তাবলী শপথবদ্ধ। আমাদের ওয়েবসাইটের নীতি বিপরীত কিছু পোস্ট দেওয়া হবে না। যেহেতু এই বিষয়গুলি প্রাথমিকভাবে চোখে পড়লে অন্যরকম মনে হতে পারে। পাঠকরা দয়া করে পুরো লেখাটি পড়ুন। হ্যাঁ, এখানে বাইবেল সম্পর্কে পোস্ট করা হয়েছে।
বিষয়বস্তুটি বোঝানোর আগে, আমাদের খ্রীষ্টের প্রিয় ভাই, বোনদের বলে রাখা ভালো যে, বাইবেল এই ইভটিজিং নিয়ে কোনো কিছু উল্লেখ হয়নি। যেহেতু বাইবেল ইভ টিজিং নিয়ে কোনো কিছু উল্লেখ হয়নি, তাই আমরা সরাসরি সমাধানে যেতে পারি না। সমাধানে যাওয়ার জন্য আগে আমাদের ইভ টিজিং নিয়ে জানা প্রয়োজন, তবেই আমাদের বিষয়টির উওর করতে পারব।
ইভটিজিং কাকে বলে?
ইভ টিজিং ইংরেজি প্রতিশব্দ যার অর্থ হলো; নারী উত্ত্যক্তকরণ। ইভ টিজিং ইংরেজিতে দুটি প্রতিশব্দ রয়েছে; “ইভ” শব্দটি বাইবেলের ইভ (Eve) অর্থাৎ আমাদের আদিমাতা বাংলায় হবাকে বোঝানো হয়েছে। যার আক্ষরিক অর্থে সম্পূর্ণ স্ত্রীজাতি'কে বোঝানো হয়ে থাকে। এছাড়া অন্যদিকে “টিজিং” শব্দটির বাংলা অর্থ হলো; জ্বালাতন করা, উত্ত্যক্ত করা, খেপান, পাছু লাগা, আঁচড়ান, টোন কাটা ইত্যাদি ইত্যাদি বোঝানো হয়ে থাকে। যেমন উদাহরণ সহকারে যে কোন পুরুষ বা ছেলে, এক নারী বা মেয়েকে দেখে এভাবে বলতে পারে, ও! কি লাগছে! পুরো যেন ঐশ্বর্য! ও! বর্তমান যুগ হলো মোবাইলের যুগ। যদি একজন নারী মোবাইল ফোন ব্যবহার করে এবং সেই পুরুষদের চোখে পড়ে। তখন আর বলা যায় না। তখন তারা এটাসেটা কথা বলে। সাধারণকো থায় বলতে গেলে, কোনো নারীকে দেখে একজন পুরুষ যদি মুখ দিয়ে শিষ দেয়, এবং সেই শিষ দেওয়ার ফলে মহিলাটি শুনে খুব উক্ত্যক্ত হয়ে যায় একেই ইভ টিজিং বলা হয়।
টিজিং নানা কারণে ও হতে পারে ধরুন; সুন্দর চেহারা, কাপড়-চোপড়, আচরণ, যৌন হয়রানি ইত্যাদি ইত্যাদি। বর্তমান সময়ে টিজিং যুবতীরা বেশি শিকার হওয়ার থাকে। তা স্কুল হোক বা অফিসের হোক যেকোন জায়গায়। উইকিপিডিয়া অনুযায়ী ইভ টিজিং শব্দটি যৌন হয়রানি (Sexual Harassment) হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। যেখানে 'Oxford Dictionary'-এর উদ্ধৃত দেওয়া হয়েছে যে 'ইভ টিজিং' শব্দটির অর্থ; 'Harassment of, or sexually aggressive behavior toward women or girls'. বর্তমান সময়ে আমরা অনেক খ্রিস্টান ছেলেদের দেখেছি যারা এই আধুনিক ছেলেদের মতো মহিলাদের টিজিং করছে। আমরা ইভ টিজিং সম্পর্কে জানলাম। এখন আমরা এই আলোয় বাইবেল কী বলে জানার চেষ্টা করি।
আমরা কি জেনেছিলাম ইভ টাইজিং শব্দটির অর্থ? আমরা জেনেছিলাম যে, ইভ টিজিং/ টিজিং শব্দটি মানে; মহিলাদের জ্বালাতন করা। এমন কিছু কথা যা শুনে একজন নারী (নারী) বিরক্তিকর হয়ে যায় বা রেগে যায়, অর্থাৎ বাজে কথাকে বোঝানো হয়। বাইবেল বাজে কথার সম্পর্কে কি বলে তা এই বাক্যে দেখুন; (ইফিষীয় ৪:২৯ BCV)। এখানে আমরা পরিস্কারভাবে দেখতে পাচ্ছি বাইবেল সুস্পষ্ট ভাবে বলছে; অশালীন বা বাজে কথা বলা উচিৎ নয়। এই বাক্যে উপসংহার হিসেবে টেনে নিয়ে এটা বলা যায় যে, বাইবেল খ্রীষ্ট বিশ্বাসীদের এটাই বলেছে যেই কথা শুনে অপরকে তা মহিলা হোক বা পুরুষ হোক এমনকি নপুংসক হোক। সেই কথা শুনে জ্বালাতন বা উও্যক্ত হয়ে বা খেপে যান অর্থাৎ সেই শ্রোতাকে গড়ে তোলা হচ্ছে না বা তাঁর পক্ষে কল্যাণকর নয় তা কখনও বলা উচিৎ নয়। সুতরাং এই বাক্যের অনুরূপ এটা বলা যায় যে মহিলাদের টিজিং করা অনুচিত। বাইবেল বারংবার বলে খ্রীষ্ট বিশ্বাসীদের তা পুরুষ হোক বা মহিলা এমন ধরনের কথা কখনও মুখে আনা অনুচিত যথা; (কলসীয় ৩:৮ BCV)।
এই বাক্যে বলছে; আপনি এমন কিছু বলছেন যা শুনে মেয়েটি বিরক্তিকর মনে করে তাহাই ভুল। বাইবেল খ্রীষ্টের বিশ্বাসীদের পুরুষ বা মহিলা হোক না কেন শান্তির থাকতে বলেছে অর্থাৎ পরস্পরকে ভালোবেসে থাকা উচিত। যেমন বাক্যেও সুস্পষ্ট ভাবে বলে; (রোমীয় ১২:১৮, মার্ক ৯:৫০ IRVBEN, ইব্রীয় ১২:১৪ BENGALCL-BSI, রোমীয় ১৪:১৯) এমন বহু বাক্যে রয়েছে যেখানে থেকে সুস্পষ্ট হয়ে ওঠে। ঈশ্বর, কখনও কাউকে তা পুরুষ হোক বা মহিলা কাউকে জ্বালাতন করতে না বলছে। সুতরাং এই বাক্যের উপসংহার হিসেবে এটাই বলা যায় মহিলাদের টিজিং করা অনুচিত। পাশাপাশি বাইবেল পরিষ্কার করে দেয় যে, তরুণ নারীদের তাদের বোনের মতো সন্মান দিতে হবে (১ তীমথিয় ৫:২)।
উপসংহার: - আমরা বাইবেলের কয়েকটি বাক্যের সাহায্যে বুঝতে চেষ্টা করেছি যে ইভ টিজিং বা মহিলাদের টিজিং করা উচিত নয়। উল্লেখিত বাক্যেগুলি দেখে নিজেকে পরিবর্তন করার চেষ্টা করুন। কারণ আপনি একজন খ্রিস্টান।
আপনাকে পরিবর্তন হওয়া প্রয়োজন। যুবতী মেয়েদেরকে বোন হিসাবে সন্মান দেওয়া উচিত। মেয়েটি অবিশ্বাসী হতে পারে তবুও বাইবেল হিসেবে সেই যুবতী মেয়েকে বোন হিসাবেই সন্মান দেওয়া উচিত। সুস্পষ্ট করে দিই নাহলে পুরুষতান্ত্রিক চিন্তিত ব্যক্তিরা বলতে পারে; টিইজিং শুধুমাত্র নারীরা কি শিকার? ছেলেরা কি টিজিং এ শিকার হয় না! আমরা স্পষ্ট করে জানিয়ে দেই যে টাইজিং শুধুমাত্র মহিলাদের শিকার, কিন্তু তা নয়। টিজিং পুরুষরা শিকার হয় তাহলে এই নারীবাদী চিন্তার মানুষগুলো আপনাকে লাফানোর প্রয়োজন নেই। এমনকি পুরুষতান্ত্রিক চিন্তাধারা ব্যক্তি আপনারাও নয়। একের-ওপরে ঠেলাঠেলি করবেন না। যেহেতু এই পোস্ট নারীদের উদ্দেশ্যে ছিল, তাই নারীদের সম্পর্কেই আলোচনা করা হয়েছে। মানুষ পথভ্রষ্ট হয়েছে অর্থাৎ ঈশ্বর থেকে অনেক দূর হয়েগেছে। মানুষ পাপে পতিত হয়েছে, তাই কেউ নিজে নিজের ভুলকে স্বীকার করতে চায় না একের উপর উপরে ঠেলাঠেলি করে। নিঃসন্দেহে উভয়ই সমভাবে দোষীকৃত।
0 মন্তব্যসমূহ
আপনাদের কিছু প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই
আমাদের জানান।
ধন্যবাদ ।