Header Ads Widget

Responsive Advertisement

খ্রিস্টান হওয়ার জন্য নাম ও পদবী পরিবর্তন করা আবশ‍্যকতা কি?// Is it necessary to change one's name and surname to become a Christian?

খ্রিস্টান হওয়ার জন্য কি নাম ও পদবী পরিবর্তন করা উচিত?

লেখকঃ এসো বাইবেল শিখি/ শিখুন।

এই বিষয় আলোচনা করা মুল উদ্দেশ্য হল। আমরা দেখছি এই বিষয়কে নিয়ে খ্রিস্টানদের মধ্যে নানা মতবাদ দিনের দিন বেড়েই চলেছে। অনেকে বলে যদি অন্য কোন ধর্ম্মের ব্যক্তি খ্রীষ্টিয় পরিবারের আসে অর্থাৎ খ্রিষ্টকে গ্ৰহন করে। আর খ্রীষ্টিয়তে আসার পূর্বে যদি তাদের নাম ও পদবী এই ভাবে থাকে যেমন গনেশ, বিশ্বকর্মা, শিব, মহম্মদ, খান ইত্যাদি ইত্যাদি। তবে তাদের নাম ও পদবী পরিবর্তন করা কি উচিত। কিছু খ্রিস্টানরা বলে থাকে এই নামগুলো তাদের দেবতার সাথে সংযুক্ত, তাই তাদের নাম পরিবর্তন করা কি উচিত।

Image by meneya from Pixabay

কিছু “So-called” খ্রিস্টানরা এক পা আগে চলে যায় আর বলে বিশ্বাসী হওয়ার জন‍্য নাম পরিবর্তন করা উচিত। কারণ যখন প্রভু যীশুকে গ্ৰহণ করেছ তখন পূর্বের কোন নাম বা ধর্ম্মের সঙ্গে কোন সম্পর্ক থাকা উচিত নয়। হাঁ এটা আমরা ও বিশ্বাস করি আমরা কেন প্রত‍্যেকে প্রকৃত বিশ্বাসীরাও বিশ্বাস করে পূর্বের কোন ধর্ম্মের সঙ্গে বিশ্বসীদের সম্পর্ক থাকে না যেমন বাক্যে বলে; (২ করিন্থীয় ৬:১৪-১৫)। এই বাক্যেটি সাধারণত বিয়ের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হয়ে থাকে। এই বাক্যের অর্থ এটা নয় যে, আপনি আপনার পরিবারের সাথে সম্পর্ক ভেঙ্গে দেন, এবং তাদের সম্পর্কে কোনো কিছু চিন্তা করতে হবে না  অর্থাৎ আপনার পরিবারের লোকের প্রতি কোন দায়িত্ব থাকবে না তাও কিন্তু নয়। সেই রকম হলে তো এই বাক‍্যকে তিরস্কার করা বোঝায়; (১ তীমথিয় ৫:৮)। 

আপনি খ্রিস্টান হওয়ার পর, যদি আপনার পরিবারের লোক বাড়ি থেকে তাড়িয়ে না দেয়। তাহলে নিশ্চয়ই আপনি, আপনার পরিবারের লোকদের সাথে খুশি খুশি থাকতে পারেন। কিন্তু মনে রাখবেন বিশ্বাসের সাথে চুক্তি করা যাবে না। তাদের আচার অনুষ্ঠানে সঙ্গে যুক্ত হবেনা, বরং বিশ্বাসী হয়ে ঈশ্বরের জন‍্য আপনাকে দাঁড়ান উচিত। আপনি খ্রীষ্টীয়কে গ্ৰহণ করার পর যদি আপনার পরিবার দ্বিধাবোধ করেন, তখন নিশ্চয় প্রভু যীশুর কার্যের জন্য আলাদা হতে পারেন। কিন্তু তবুও আপনার পরিবারের প্রতি কোনো খারাপ সম্পর্ক বজায় রাখবেন না। হতে পারে আপনার পরিবার লোক প্রভু যীশুকে জানেন না, তাঁরা সেই সত্যকে জানে না। অবশ্যই আপনি আপনার পরিবারের জন্য নিয়ত প্রার্থনায় থাকবেন। ঈশ্বর আমাদেরকে মানে প্রকৃত বিশ্বাসীকে প্রেম করতে শেখায় ঘৃনা করতে নয় তো আমরা/বিশ্বাসীরা যখন প্রভু যীশুকে গ্ৰহণ করলে তখন নতূন সৃষ্টি হই যেমন বাক্য বলে; (২ করিন্থীয় ৫:১৭)। 

খ্রীষ্টকে গ্ৰহণ করার পর বিশ্বাসীদের পূর্বের কোন ধর্ম্মের সঙ্গে আর কোন সম্পর্ক থেকে যায় না। তখন সব নতুন হয়ে উঠেছে তা বলে এটা নয়, যে একজন ব্যক্তি খ্রীষ্টকে গ্ৰহণ করার পরে নাম পরিবর্তন করতে হবে। সম্ভবত ওই নামটি পূর্ববর্তী ধর্মের সাথে মিলিত হতে পারে। খ্রীষ্ট বিশ্বাসীদের মনে রাখা প্রয়োজন যে, নাম এবং বিশ্বাস এই দুটি গুলিয়ে ফেলা উচিত নয়। বাইবেলে এমন কোনো জায়গায় বলা হয়নি যে, খ্রিস্টান বা বিশ্বাসী হওয়ার জন্য নাম ও পদবী বদলানো প্রয়োজন বলে। বরং বাক‍্য কি বলে! এইসব বাক্যে দেখুন; (প্রেরিত ৩:১৯প্রেরিত ২:৩৮২ পিতর ৩:৯প্রেরিত ১৭:৩০)। এই রকম বহু বাক‍্য আছে যা মন পরিবর্তন করতে বলা হয়েছে। নাকি নাম পরিবর্তন করতে বলা হয়েছে। এমনকি যখন ঈঈশ্বর নিজেই এই পৃথিবীতে এসেছিলেন অর্থাৎ পুএ ঈশ্বর যার নাম, যীশু। তিনি নিজেও মন পরিবর্তন কথা বলেছিলেন যেমন এই বাক্য বলে; (মথি ৪:১৭)।

এমনকি কিছু “তথাকথিত” খ্রিস্টান তারা নিজেদের রক্ষা করার জন্য আরো একটি পা এগিয়ে যায়। তাঁরা বলে শৌলের নাম পরিবর্তন করা হয়েছিল। কারন এর আগে পৌলের নাম শৌল ছিল, কিন্তু খ্রিষ্টান হওয়ার পর তাঁর নাম, তাঁরই পুস্তকে পৌল বলেছেন বা পৌল বলে ডাকা হয়েছিল। খ্রীষ্ট বিশ্বাসীদের বলে রাখা প্রয়োজন পৌল কিন্তু নাম পরিবর্তন করেননি। পৌলের দুই নাম ছিল। একটি ছিল শৌল অন্যটি পৌল যেমন এই বাক্য পরিস্কারভাবে বলে দিয়েছে;

[প্ররিত ১৩:৯কিন্তু শৌল যাঁহাকে পৌলও বলে‌। 

বর্তমান যুগে যেমন আমরা একজন ব্যক্তির নাম দু-তিনটা রেখে দেই, ঠিক একই ভাবে তখনকার যুগেও একজন ব্যক্তির নাম দু-তিনটা স্বাভাবিক ছিল। এছাড়া আমরা বাইবেলে দেখতে পাই, ঈশ্বর কিছু ব্যক্তির নামও পরিবর্তন করেছেন। যেমন, আব্রাহাম, যাকোব, সারা, পিতর। ঈশ্বর এই ব‍্যক্তিদের বিশেষ কারণ বশতঃ নাম পরিবর্তন করেছিলেন। যদি কেউ স্বেচ্ছায় নাম পরিবর্তন করে তা তার ব‍্যক্তিত্ব ব্যাপার কিন্তু খ্রিস্টান/বিশ্বাসী হওয়ার জন্য নাম ও পদবী পরিবর্তন করা উচিত তা কিন্তু নয়। নাম ও পদবী পরিবর্তন করা সহজ কিন্তু মন পরিবর্তন করা কঠিন অতএব নাম পরিবর্তন করা চেয়ে মন পরিবর্তন করা আবশ‍্যকতা।

উপসংহারঃ- আমরা দেখলাম যে নাম পরিবর্তন মহত্ব রাখে না অর্থাৎ নাম পরিবর্তন গুরুত্ব নয়। তার থেকে অধিক মন পরিবর্তন করাই গুরুত্ব। বাক‍্য বলে স্বয়ং ঈশ্বর একদিন প্রকৃত বিশ্বাসীদেরকেও এক নূতন নাম দেওয়া হবে, যেমনটি এই বাক্য সুস্পষ্ট ভাবে বলে থাকে; (প্রকাশিত বাক‍্য ২:১৭)।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ