Header Ads Widget

Responsive Advertisement

খ্রিস্টানদের কি বড়দিন পালন করা উচিত?// Should Christians celebrate Christmas?

খ্রিস্টানদের কি বড়দিন উদযাপন করা উচিত?

✍️ এসো বাইবেল শিখি/শিখুন।

আজকের বিষয়টি সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ সমগ্র পৃথিবীর মানুষের জন্য একমাত্র উদ্ধারকর্তা, মুক্তিদাতা, ত্রাণকর্তা এই জগতে জন্মগ্রহণ করেছেন।

Image by Michelle Raponi from Pixabay

প্রত্যেক বছরেরই মতো জগত এই বছর জগৎ খুব ধূম-ধামে Christmas/ বড়দিন উৎসব পালন করবে। নতূন নতূন জামা-কাপড়, নানা ধরনের পার্টি, পিকনিক যাওয়া, কেক খাওয়া, বাড়িতে নানা ধরনের খাদ্য সামগ্রী তৈরি করা এবং বাড়িতে নানা ধরনের নকশা করা এবং আমাদের যুবক-যুবতীগণ গার্লফ্রেন্ড, বয়ফ্রেন্ড নিয়ে ব্যবস্তায় সময় কাটা। তা বিশ্বাসী যুবক-যুবতী হউক বা অবিশ্বাসী হউক ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু জগত এটা জানে না। জগত বলতে অবিশ্বাসীদের কথা বোঝান হয়েছে। খ্রিষ্টানদের মধ্যে ও এই উৎসব পালন করার নিয়ে ও নানা মতভেদ রয়েছে। যুদ্ধ হয়েই থাকে যুদ্ধ বলতে হাতা-হাতির, খুনা-খুনির কথা বলতে চাওয়া হচ্ছে না। এখানে সমস্যার (বিরোধ) কথা বোঝান হচ্ছে। কিছু পক্ষ বলে ২৫শে ডিসেম্বর দিনেই যে যীশুর জন্ম গ্ৰহণ করেছিলেন তার কোন প্রমান নেই তো কেন বড়দিন পালন করব কি? কিছু পক্ষ বলে এটি মূর্তি পূজা ধর্ম থেকে নেওয়া হয়েছে। রোমান ক্যাথলিকরা এই ধর্ম প্রচলন করেন। তো রোমান ক্যাথলিক প্রচলন করা ধর্ম কোন ভাবে খ্রিষ্টীয় বিশ্বাসীদের পালন করা উচিত নয়। কারণ তারা বাইবেল সঠিক অর্থে চলে না। এই ঐতিহাসিক প্রচলন বিষয় পূর্বে থেকে আলোচনা করা রয়েছে আপনারা যদি বিস্তারিত জানতে চান নিচের দেওয়া লিঙ্কে ক্লিক করতে পারেন। বড়দিনে উৎপত্তি কি? বাইবেলেও কথায় লিখা নেই খ্রিষ্টমাস বা বড়দিন উৎসব পালন করা নিয়ে বরং প্রভু যীশুর জন্মের বিবরণ নিয়ে লেখা রয়েছে কিন্তু পালন করার বিষয় নিয়ে নয়। প্রশ্ন চিহ্ন (?) দাঁড়িয়ে যায় তবে পালন করা উচিত কিনা?

এই উৎসব পালন করা সঠিক কিনা! ভূল সিদ্ধান্ত করার পূর্বে আমরা আপনাদের কিছু দৃষ্টি কোন আকর্ষন করতে চাই তো স্বয়ং আপনারা বিশ্লেষণ ও করতে পারবেন। আমরা জানি আমাদের দেশে যখন প্রভু যীশুর সুসমাচার প্রচার করা হয়। তখন সুসমাচার প্রচার করার সময় অবিশ্বাসীদের মাধ্যমে খ্রিষ্টিয়ানদের নানা সমস্যায় মধ্যে সম্মুখীন হতে হয়। খুব অত্যাচার করা হয়। কখন ও গালিগালাজ দেওয়া হয়, ধর্ম পরিবর্তন করা আরোপ/ দোষী করে প্রচারকদের লাঠিপেট করা হয়। জীবন্ত জ্বালিয়ে/ পুড়িয়ে মারা, কোথাও উলঙ্গ করে শাসিত করা হয়। খ্রিষ্টিয়ানদেরকে বহু বিঘ্ন মধ্যে সম্মুখীন হতে হয়। যারা সুসমাচার প্রচার করেন তারা নিয়ত এই সব অনুভব করেই থাকেন। তাছাড়া এখন তো আপনারা সোশ্যাল মিডিয়া ও দেখতে পান খ্রিষ্টানদের কি ভাবে শাষিত করা হয়। এটা ঠিক যে আমরা বিশ্বাস করি, আমরা কেন প্রকৃত বিশ্বাসীরাও বিশ্বাস করে প্রভু  যীশু ২৫শেই ডিসেম্বর যে জন্ম গ্ৰহণ করেছিলেন তা কিন্তু নয়।  আমরা একটু আগে দেখছিলাম খ্রিষ্টানদের কিভাবে শাসিত করা হয় বলে! অবশ্যই ২৫শেই ডিসেম্বর যে যীশু জন্ম গ্ৰহণ করেছেন তা কিন্তু নয়। তবে বাইবেল একটি বিষয় শিক্ষা দেয় যেমন এই বাক্য বলে; (কলসীয় ৪:৫

এখানে বাক্য কি বলল? এখানে বাক্যে বলল যে আমাদেরকে বুদ্ধিপূর্ব্বক চলতে হবে, এবং সুযোগ ব্যবহার করতে হবে। হতে পারে আমরা প্রভু যীশুর জন্মের দিন ও তারিখ জানি না। তাছাড়া প্রভু যীশু নিজে এই বাক্যেয় বলছেন যথা; (মথি ১০:১৬) এই ঈশ্বর আমাদেরকে সুযোগ ব্যবহার করতে বলেছেন, সাবধান হতে বলেছেন, অমায়িক মানে নিরহ, সরল, ভালো, হতে বলেছেন। ২৫শে ডিসেম্বর জগত কোন ভাবে স্বীকার করে নিয়েছে যে, এই দিন খ্রিষ্টিয়ানদের উৎসব। অবশ্যই এই দিনকে এই সব বাক্যের হিসেবে সুযোগ ব্যবহার করে ঈশ্বরেরর মহিমা করতে পারি। এছাড়া আমরা দেখছি সাধারণ দিনের চেয়ে এই দিন খ্রিষ্টিয়ানরা বেশি সুরক্ষিত হয়। খ্রিষ্টীয়ানরা যদি এই দিন বাইরে গিয়ে ও সুসমাচার প্রচার করে কেউ তাদের বিরোধ করে না। এমন কি এই দিন সুসমাচার প্রচার করার সময় কিছু লোক খুশি খুশি খ্রীষ্ট বিশ্বাসীদের কথাও শুনে ফেলে। বাক্যের হিসাবে আমাদের সুযোগ ব্যবহার করা উচিত। আপনি বলবেন তবে পালন করা উচিত কিনা? আপনাদের বলি হাঁ পালন করা উচিত। 

কিন্তু জগত যেই ভাবে পালন করে সেই ভাবে নয়। যেমন সান্তা ক্লজ, খ্রিষ্টমাস ট্রি, বড় বড় তারা লাগিয়েও নয়। কারণ এই সব চিহ্ন বড়দিনের প্রতীক মাএ হয়ে গেছে, তাই এই সব প্রতিক ব্যবহার না করলেই ভাল হয়। লোক এই সব প্রতীকে খ্রিষ্টমাস বা বড়দিন উৎসব বলে মনে করে। এখন প্রশ্ন দাঁড়াতে পারে যে, তবে কিভাবে পালন করা উচিত? উওর সেই স্বর্গ দূতদের মতন আমাদেরকে আনন্দের সুসমাচার প্রচার করে বড়দিন পালন করতে হবে। আমাদের প্রত্যেকে সেই সুসংবাদ শুনান উচিত যে আপনাদের জন্য উদ্ধারকর্তা, মুক্তিদাতা, ত্রাণকর্তা জন্ম নিয়েছেন। তিনি পাপের কারণে সেই ভেঙ্গে যাওয়া সেই সম্পর্কে পূর্ণ স্থাপন করা জন্য জন্ম নিয়েছিলেন। তিনি আমার আর আপনার প্রত্যেকের পাপ নিজের কাঁধে বয়ে নিয়ে ধৌত করতে এসেছিলেন। 

তিনি আপনাকে এক নতুন জীবন দিতে চাইছেন। এই ভাবে আরো অনেক কথা যোগ করে সুসমাচার প্রচারক করতে পারেন। বাইবেল স্পষ্টভাবে বলে প্রভু যীশু এই জগতে কেন এসছিলেন বলে! তা এই বাক্যে দেখে নিতে পারেন; (লূক ৫:৩২১ তীমথিয় ১:১৫সাধূ পৌল প্রভু যীশুর জন্মের কারণ একদম সুস্পষ্ট ভাবে বলেন। আমাদের এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ঈশ্বরের মহিমান্বিত করার জন্য প্রচার করা উচিত। আমাদের কাছে তারিখ, দিন মহত্ত্ব নয়, মহত্ত্ব হলো সেই সুযোগ। আমাদের প্রচারের ফলে অপর ব্যক্তি যখন নিজের পাপ স্বীকার করে অর্থাৎ ঈশ্বরের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন, তখন স্বর্গে সত্যিই খুশি হয় যে একজনকে খুঁজে পাওয়া গেছে, যেমনটি বাক্য বলে; (লূক ১৫:৭) ঈশ্বরে কখনোই ইচ্ছা হয় না যে একজন মানুষকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হয়, ঠিক যেমনটা বাক্যে স্পষ্ট হয়; (১ তীমথিয় ২:৪)।

ঈশ্বরের, ইচ্ছা মানুষ সত্যকে জানতে পারে, সত্যকে জেনে বিশ্বাস করে গ্ৰহণ করে। এখন প্রশ্ন উঠতে পারে সত্য কে? বাক্য বলে স্বয়ং প্রভু যীশু এই বাক্যে দেখুন; (যোহন ১৪:৬)। এমনিতে প্রত্যেক খ্রিষ্টীয় বিশ্বাসীদেরকে সেই সত্য পৌঁছে দেওয়ার জন্য দায়িত্বও দেওয়া হয়েছে যেমন সুস্পষ্ট ভাবে বাক্যে বলে; (মার্ক ১৬:১৫-১৬Christmas বা বড়দিন উৎসব এই ভাবে পালন করা উচিত, প্রত্যেকে সেই শুভ সংবাদ মানে সুসমাচার শুনান উচিত। যদি আমরাই ঘরে বসে/ Church সান্তা ক্লজ, খ্রিষ্টমাস ট্রি, বড় বড় তারা এই সব চিহ্ন ব্যবহার করে বড়দিন উদযাপন করি, তাহলে অন্যরা কিভাবে বুঝতে পারবে ক্রিস্টমাস কি বলে! এমনিতে  জগত খ্রিষ্টানদের নিয়ে পূর্বেই ভূল ধারনা মধ্যেই ডুবে রয়েছে। যদি প্রকৃত বিশ্বাসী হয়ে এই রকম করা হয় লোকেরা সেই ভ্রান্ত মধ্যেই পড়ে রইবে। অবিশ্বাসীরা কখনো সত্যকে সঠিক ভাবেও জানতে পারবে না। খ্রিস্টানদের এটা বলা হচ্ছে না যে, আপনি ঘরে বা চার্চে বশে বড়দিনের সময় ঈশ্বরের আরাধনা করতে পারবেন না! নিশ্চয় করতে পারেন। সুসমাচার প্রচার শেষ করে প্রত্যেক খ্রিষ্টীয় ভ্রাতা ও ভগিনীগন এবং মণ্ডলীর সদস্যগন একসঙ্গে মিলিত হয়ে ঈশ্বরকে আরাধনা বা ধন্যবাদ দিতেও পারেন যেমন বাক্য বলে থাকে; (গীতসংহিতা ১০৭:১গীতসংহিতা ৯৬:২১ থিষলনীকীয় ৫:১৮)।

উপসংহারঃ- আমরা দেখলাম বড়দিন পালন করা বা না করার কোনো বৈধ শাস্ত্রীয় কারণ নেই। একই সময়ে, এটি পালন করার জন্য কোন বাইবেলের আদেশ নেই। শেষ পর্যন্ত, অবশ্যই, ক্রিসমাস উদযাপন করা বা না করা একটি ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। তবে বাইবেলে এমন কিছু বাক্যে রয়েছে যা থেকে প্রকাশিত হয় ঈশ্বরের মহিমান্বিত করার জন্য পালন করা যেতে পারে কিন্তু সঠিক অর্থে।আলোচনার মাধ্যমে এটাই বোঝান হয়েছে যে, জগৎ যেই ভাবে খ্রিষ্টমাস বা বড়দিন পালন করে সেই ভাবে খ্রিষ্টীয় বিশ্বাসীদের বড়দিন পালন করা উচিত নয়। এই আলোচনার করার মাধ্যমে খানিকটা আপনাদের দৃষ্টি কোন আকর্ষন করা হয়ে আপনি চাইলে এইভাবে পালন করতেও পারেন। কিন্তু বিচার/ সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ আপনার উপরে।

ঈশ্বর সকলকে বুঝার মত জ্ঞান প্রদান করুন।
আমেন।।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ