Header Ads Widget

Responsive Advertisement

মহিলারা কি প্যাস্টর হতে পারে?// Can women be pastors?

একজন মহিলা কি যাজক (পাষ্টার) হতে পারেন? (Can a woman be a pastor?)  

লেখকঃ- এসো বাইবেল শিখি/ শিখুন।

আজকের বিষয় বস্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বস্তু। আমরা দেখছি এই বিষয় বস্তু নিয়ে দুই পক্ষ রয়েছে কিছু পক্ষ বলে; হ্যাঁ মহিলার যাজক (পাষ্টোর) হতে পারে। আবার কিছু পক্ষ বলে নানা মহিলারা যাজক (প্যাস্টর) হতে পারে না। এখন যারা নতুন ও দুর্বল বিশ্বাসী তাদের কাছে প্রশ্ন চিহ্ন দাঁড়িয়ে, তবে বাইবেল হিসেবে এর উওর কি? মহিলাদের কি যাজক (প্যাস্টর) হতে হবে? এই বিষয়ে বাইবেল ভিত্তিক বিস্তারিত আলোচনা করার আগে আমরা একটি বাক্যে উপস্থাপন করতে চাই, তারপর আমরা আমাদের বিষয়গুলির দিকে এগিয়ে যাব। চলুন সেই বাক্যে কি দেখে নেওয়া যাক; (২ তীমথিয় ৩:১৬

Image by freepik

এই বাক্যে কি বলেছে? এই বাক্যটি বলেছে বাইবেলের প্রতিটি শব্দ ঈশ্বরের মাধ্যমে এসছে। এর মানে হল; বাইবেলের কথা গুলো সত্য এবং তা থেকে কিছু হাস্য করা যায় না বা জুড়া ও যায় না। বাইবেল যেইভাবে শিক্ষা দেয় সেইভাবেই আমাদের চলা উচিত, বাইবেলের বিপরীত নয়। চলুন এখন আমাদের আলোচ্য বিষয় বস্তুতে ফিরি আসি। বিশ্বজুড়ে আজ অর্থাৎ বর্তমান দিনে হাজার হাজার মানুষ, তা পুরুষ থেকে শুরু করে নারী উভয়ই পর্যন্ত, যাজক বা প্রত্যয়িত বাইবেল শিক্ষক হওয়ার জন্য একটি বাইবেল কলেজ বা সেমিনারিতে যোগ দেন। হাঁ এটা খুবই প্রশংসনীয় যে অনেক মানুষ মন্ডলীর একটি বড় ভূমিকা নিতে আগ্রহী। কিন্তু এটা কি সবার জন্য? পুরুষ ও মহিলা উভয়ের জন্য পাদ্রী হওয়া কি ঠিক? বিশেষ করে মহিলাদের সম্পর্কে কেমন! চার্চ কর্তৃত্বের জায়গায় কারা কাজ করে, তা নিয়ে বাইবেল কী বলে? আজকের এই প্রশ্নের উত্তর আপনাকে অনেক কিছু শেখাতে পারে। 

বর্তমান দিনে মন্ডলীতে একটি খুব বিতর্কিত বিষয় হ'ল। এটা মনে রাখা সর্বদা গুরুত্বপূর্ণ যে, আমরা যখন এই ধরনের সমস্যাগুলির মুখোমুখি হই, তখন আমাদের কখনই আমাদের অনুভূতি বা ব্যক্তিগত মতামত এতে প্রয়োগ করা উচিত নয়। কারণ অনুভূতি এবং মতামত ত্রুটিপূর্ণ হতে পারে। আর শয়তান সবসময় আমাদের বিপথে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেই যাচ্ছে। পরিবর্তে, খ্রীষ্টের অনুসারী হিসাবে, আমাদের অবশ্যই নিশ্চিত উত্তরের জন্য সর্বদা সরাসরি ঈশ্বরের বাক্যে যেতে হবে। আমরা দেখছি মন্ডলীর মতভেদ সাধারণ তীমথিয়ের প্রতি পৌলের লেখা চিঠি নিয়ে। কিছু বাক্য তুলে ধরার পূর্বে একটু এই দুই পএের ঐতিহাসিক পটভূমি জানা যাক। 

তীমথিয়ের প্রতি পৌলের লেখা চিঠি পটভূমি: 

সংক্ষেপে, এই পুস্তকের ঐতিহাসিক পটভূমি উল্লেখ করা হচ্ছে। এই ঐতিহাসিক পটভূমির সাহায্য নির্ণয় আসতে খুব সহজ হবে। পৌল রোমের কারাগার থেকে প্রথম মুক্তির পর তাঁর শিষ্য তীমথিয় সেই শহরগুলিতে ফিরে যান, যেখানে তারা পৌলের গ্রেপ্তারের পূর্বে পরিচর্যা করেছিল। সেই শহরগুলির মধ্যে একটি ছিল ইফিষ, যেখানে তিনি মন্ডলীর যে সমস্ত সমস্যাগুলি যেমন; মিথ্যা মতবাদ, মূর্তি পূজা এবং চার্চের নেতৃত্বে বিশৃঙ্খলার মতো সমস্যাগুলি মোকাবেলা করার জন্য তীমথিয়কে রেখে এসছিলেন। সাধু পৌল তাঁরপরে মাকিদনিয়ায় চলে যান, যেখানে তিনি তীমথিয়কে তাঁর দুটি চিঠি লিখেছিলেন। তীমথিয়কে তাঁর কাজে উত্সাহিত করার জন্য, এবং তরুণ ধর্মপ্রচারককে পরামর্শ দেওয়ার জন্য। তিনি চিঠিগুলির জন্য উদ্দেশ্য করেছিলেন যেমন; মিথ্যা মতবাদ, মন্ডলীর আদেশ, মিথ্যা শিক্ষক, যাজকীয় দায়িত্ব, এবং মন্ডলীর যাজক হিসাবে যথাযথ যাজকীয় আচার ও আচরণ। এই পুস্তকে সাধারণত এখন যাজক পত্র বা পুস্তক হিসাবে বলা যায়। আমরা দেখতে পাই দ্বিতীয় অধ্যায়ে, যেখানে আমরা পৌলকে, মন্ডলীর যাজক হিসাবে নারীদের সমস্যাটিকে সম্বোধন করতে। ফলাফলটি ছিল মন্ডলীর মধ্যে মহিলাদের ভূমিকা সম্পর্কে বিভ্রান্তি এবং অসন্তোষ। যেমন এই বাক্যে বলে (১ তীমথিয় ২:১১-১৩)। 

পৌলের এই বক্তব্যে অনেকেই বিরোধিতা করেন। কিন্তু আমরা প্রথম শতাব্দীর খ্রিস্টান হিসাবে চিন্তা করার চেষ্টা করি। পৌল কী বলতে চেয়েছিলেন। অবশ্যই এখানে অনেক মহিলা গির্জার নেতৃত্বে জড়িত ছিলেন। এবং এটি মন্ডলীর (চার্চের) কিছু সদস্যের মধ্যে কিছুটা উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। আসুন বাক্যেকে মনোনিবেশ করার চেষ্টা করি। নারী সম্পূর্ণ বশ্যতাপূর্ব্বক মৌনভাবে শিক্ষা করুক”। এখানে শিক্ষার” জন্য যেই গ্ৰীক শব্দ এসছে তা হলো; μανθανέτω-manthaneto” এই শব্দের একটি আবশ্যিক অর্থ রয়েছে যেখানে পৌল বলছেন; নারীদের অবশ্যই মন্ডলীতে শিখতে দেওয়া উচিত৷ এই কথাটি তাঁর সময়ের জন্য বিপ্লবী ছিল। ইহুদি বা গ্রীক সংস্কৃতির দ্বারা মহিলাদের উচ্চ মর্যাদা দেওয়া হত না। এবং তাই তারা মূলত অশিক্ষিত ছিল। মনে রাখবেন, এই লোকেরা সম্প্রতি সত্যকে স্বীকার করেছিল যে, যীশুই প্রতিশ্রুত মশীহ। এর আগে, তারা ইহুদিদের অনুশীলন করত। এবং সেই দিনগুলিতে, ইহুদি বিশ্বাসে (বা অন্য কোথাও) মহিলাদের কোনও কর্তৃত্ব ছিল না। নিকটবর্তী মন্দিরে পৌত্তলিক দেবতা আর্টেমিসের উপাসনায় মহিলাদের নেতৃত্ব দেওয়ার বিষয়টিও ছিল। পৌল জানতেন খ্রিস্টান আরাধনালয় অর্থাৎ মন্ডলী আলাদা হওয়া দরকার। এটি সম্ভব পৌলের কথা হিসাবে ধারণা করা যেতে পারে যে, কিছু মহিলা, যারা নতুন বিশ্বাসী। এবং একটি নতুন মন্ডলী দিয়ে সজ্জিত হয়ে মানে প্রভাবিত হয়ে, কর্তৃত্ব এবং সম্মানের জায়গা পাওয়ার চেষ্টা করার জন্য খুব বেশি শক্তি প্রয়োগ করতে পারে। তাই পৌল বলেছেন যে তাদের প্রথমে শেখার প্রতিশ্রুতি দেওয়া উচিত, শিক্ষা দেওয়া নয়। অন্তত পুরুষদের কাছে না। তিনি আরও বলেছেন যে তাদের অবশ্যই এটি মৌনভাবে করতে হবে। এটি তাদের মুখ বন্ধ রাখার আদেশ হিসাবে বোঝানো হয়নি, বরং শিক্ষার্থী হিসাবে মহিলাদের ভূমিকাকে চিহ্নিত করার জন্য। অবশ্যই মহিলাদের শিক্ষা দেওয়ার অধিকার দেওয়া হয়েছিল কিন্তু তা শিশুদের এবং অন্যান্য মহিলাদের জন্য যেমন বাক্য বলে; (তীত ২:৩-৫)। 

নারী ও শিশুদের শিক্ষার অধিকার রয়েছে। কিন্তু তাদের পুরুষদের শিক্ষা দেওয়ার অনুমতি ছিল না। অতএব, তারা যাজক বা প্রাচীনদের অন্তর্ভুক্ত করবে না। পৌল দ্বারা নিম্নলিখিত বাক্য আরো খুব সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে; (১ তীমথিয় ২:১২)। সাধু পৌল মন্ডলীর মধ্যে শিক্ষার গুরুত্ব স্বীকার করেন কিন্তু এই ক্ষেত্রে, তিনি একটি সম্পূর্ণ মন্ডলীর শিক্ষাদান বা যাজক করার কথা উল্লেখ করছেন পুরুষের। এই বাক্যেয় (১ তীমথিয় ৩:২) প্রমাণ দিয়েছেন। পৌল বলেছেন যে মন্ডলীতে পুরুষদের আধ্যাত্মিক কর্তৃত্ব থাকা উচিত। এবং তারা সকলেই পুরুষ হওয়া উচিত। সাধু পৌল স্বীকার করেছেন যে একটি মন্ডলীর পুরুষ এবং মহিলাদের অনন্য ভূমিকা রয়েছে, যা ঈশ্বর দ্বারা ডিজাইন করা হয়েছিল। তিনি তেরো এবং চৌদ্দ পদে ব্যাখ্যা করেছেন; (১ তীমথিয় ২:১৩-১৪)। 

পৌল এই বলে শুরু করে “প্রথমে আদমকে”, কে” শব্দটির অর্থ; তিনি আগের বাক্যে (১২) যা বলেছেন তা ব্যাখ্যা করেন। তাঁর ব্যাখ্যার মধ্যে দিয়ে সৃষ্টির গল্পে সবকিছুই আছে। ঈশ্বর প্রথমে আদমকে তৈরি করেছিলেন। এবং তারপর তিনি আদমের পাঁজরের একটি থেকে হবাকে তৈরি করেছিলেন। তাঁর বক্তব্য হল ঈশ্বর আদি সৃষ্টির আদেশের উপর ভিত্তি করে একজন নারীর ভূমিকা ডিজাইন করেছেন। তিনি তাকে সহকারিণী হিসাবে তৈরি করেছিলেন এই বাক্যের অনুরূপ; (আদিপুস্তক ২:১৮)। পৌল কিন্ত সহকারিণী হিসাবে উল্লেখ করেছেন “কর্তৃপক্ষ” জন্য নয়। পৌল এটাও উল্লেখ করেছেন, হবা আদমের উপর কোন কর্তৃত্ব গ্রহণের জন্য উপযুক্ত ছিল না। কিন্তু সে যাইহোক করেছিল। কর্তৃত্ব করার ফলে কি হয়েছিল তা আমরা সবাই জানি। হবা শুধুমাত্র শয়তানের মিথ্যা কথাই বিশ্বাস করেনি। বরং নিষিদ্ধ ফল খেয়েছিল, সাথে তার স্বামী আদমকে ও তাও দিয়ে ছিলেন। কিন্তু আদমের জিজ্ঞাসা করা অধিকার ছিলো। কিন্তু তিনি ঈশ্বরের বাধ্য হওয়ার পরিবর্তে হবাকে অনুসরণ করেছিলেন। 

শেষ পর্যন্ত, তারা উভয়েই পুরুষ এবং মহিলাদের ভূমিকা সম্পর্কে ঈশ্বরের নকশা লঙ্ঘন করেছিল। কারণ তারা পৃথিবীতে পাপ নিয়ে এসেছিল। সাধু পৌল এটা বলার চেষ্টা করছেন না যে, নারীরা পুরুষদের তুলনায় সহজে প্রতারিত হয়। বরং, তিনি বলছেন যে মহিলাদের কর্তৃত্বের জায়গায় থাকা উচিত নয়, যেখানে তারা পুরো মণ্ডলীকে শিক্ষা দেবে, যার মধ্যে পুরুষ রয়েছে। এটা করা ঈশ্বরের আদেশকে বিপর্যস্ত করবে। ঈশ্বর প্রথমে আদমকে সৃষ্টি করেছেন, তাই পুরুষরাই সঠিক কর্তৃপক্ষ। আমরা সুস্পষ্ট হয়েছি যে, ঈশ্বর বাইবেলে পৌল দ্বারা মহিলা যাজক (প্যাস্টর) হওয়া অনুমতি দিচ্ছে না। তাছাড়া বাইবেল যাজক (প্যাস্টর) হওয়া মানদণ্ডের রূপরেখা দিয়েছেন। কি সেই মানদণ্ড যা থেকে আরও সুস্পষ্ট হয় যে মন্ডলী সর্বদা পুরুষ যাজক (প্যাস্টর) উচিত। উদাহরণস্বরূপ এইসব বাক্যে দেখুন; (তীত ১:৬১ তীমথিয় ৩:২)। এখানে পাস্টোর (Pastor জন্য যেই গ্রিক শব্দ উল্লেখ করা হয়েছে তা হল: “ἐπίσκοπος-episkopos” পুরুষ সর্বনাম বোধক এবং তা নির্দিষ্ট করে পরিচালক / প্রধান নেতা / অধ্যক্ষ / প্রবীণ / পরিচারকদের সম্পর্কে বলা হয়েছে অর্থাৎ পুংলিঙ্গ বোঝায় নাকি স্ত্রীলিঙ্গ! 

পাষ্টার হওয়ার যোগ্যতাগুলি কী (Qualifications of a pastor in Bengali)


পৌল খুব সুন্দর ভাবে বলেছেন যে, নিরপরাধ, নিখুঁত, এক স্ত্রীর স্বামী, ভাল আচরণ, অতিথিপরায়ণ, শিক্ষা দেওয়ার ক্ষমতা, মদ্যপান বা লোভ দেওয়া হয় না এবং যে তার ঘরকে ভালভাবে পরিচালনা করে, অন্যান্যগুলির মধ্যে জিনিসগুলি-প্রথম বিষয় হল যে একজন যাজক “একজন মানুষ হওয়া উচিত। সাধু পৌল বা সম্পূর্ন বাইবেলে একজন নারীর যাজক হওয়ার যোগ্যতার বিবরণ দেননি। এটা বোঝা গুরুত্বপূর্ণ যে পৌলের কথার সাথে লিঙ্গবাদ বা পুরুষের আধিপত্য বা পুরুষ অরাজকতার কোনো সম্পর্ক নেই। এর সাথে পুরুষ বনাম নারী, বা পুরুষদের কোনোভাবে নারীর চেয়ে ভালো হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই। নারীদের নিচু চোখে বাইবেল দেখা হয়েছে তা কিন্তু নয়। এটা বাইবেলের অর্থাৎ ঈশ্বরের নীতিমালা। কিছু লোক এখনও পৌলের সাথে একমত হতে পারে না। কেউ কেউ এখনও মনে করতে পারে যে মহিলাদের পাদ্রী বা প্রবীণ হওয়া সম্পূর্ণরূপে সঠিক। 

এটি মানুষের স্বভাব যে আমাদের বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি এবং মতামত রয়েছে। কিন্তু আমাদের অবশ্যই একটি সত্যে একত্রিত হতে হবে অন্যথায় আমরা একটি মন্ডলী হিসাবে ব্যর্থ হব। আমাদের সকলকে অবশ্যই স্বীকার করতে হবে যে বাইবেল ঈশ্বর-প্রশ্বাসযুক্ত বানী তা ঈশ্বরের মাধ্যমেই লেখা হয়েছে যেমন বাক্য বলে; (২ তীমথিয় ৩:১৬গীতসংহিতা ১২:৬হিতোপদেশ ৩০:৫ IRVBEN)। যদি আমার এই বাক্যেকে বিশ্বাস করি, এবং এটি অনেক খাঁটি। এটা ঈশ্বরের মাধ্যমে এসেছে এর মধ্যে কোন কিছুই ভুল নেই। তবে আমাদের কখনই এটি পরিবর্তন করার চেষ্টা করা উচিত নয়। এবং আমাদের কখনই ঈশ্বরের বাক্যকে আলাদা করা উচিত নয়। এবং এর কিছু অংশকে উপেক্ষা করে, কিছু বিশ্বাস করা বেছে নেওয়া উচিত নয়। হয় আমরা বিশ্বাস করি এর সবগুলোই সত্য, অথবা নয় আমরা এর কোনোটিই বিশ্বাস করি না। অন্যথা করলে ঈশ্বর তার সার্বভৌমত্ব এবং চরিত্র অস্বীকার করা বোঝায়।

ভিডিও দেখুন 👇

ঈশ্বর সকলকে বোঝার মতো জ্ঞান প্রদান করুন। 
আমেন।।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ