যদি মারিয়ার কাছে প্রার্থনা করা উচিত না, তাহলে মারিয়া কেন প্রার্থনার উত্তর দেয়?
✍️ এসো বাইবেল শিখি/ শিখুন।
আজকের বিষয় বস্তু খুবই বিতর্কিত একটি বিষয়। আমরা যখন মারিয়া/ মরিয়ম সম্পর্কে পোস্ট করে বলি যে, মারিয়া/ মরিয়ম কাছে প্রার্থনা করা উচিত নয়। তখন অনেক রোমান ক্যাথলিক ভাই ও বোনেরা বলে! আচ্ছা ঠিক আছে আপনাদের হিসাবে মেনে নিলাম যে, মা মারিয়া/ মরিয়ম কাছে প্রার্থনা করা উচিত নয়, তবে যখন আমরা মা মারিয়া/ মরিয়ম কাছে প্রার্থনা করি বা করে ছিলাম, প্রার্থনা করার পর তবে কেন প্রার্থনার উওর পাওয়া যায় কি? এই বিষয় নিয়ে আমাদের রোমান ক্যাথলিক ভাই বোন খুবই তর্ক-বিতর্ক করে থাকে। আর নিজের হিসেবে ব্যাখ্যা দিয়ে নানা গুজব ছড়িয়ে দিয়ে থাকে। এই বিষয় নিয়েই আমরা বাইবেল থেকে দেখার চেষ্টা করব, আদৌও কি মা মারিয়া/ মরিয়মের কাছে প্রার্থনা করলে প্রার্থনার উওর পাওয়া যায় কিনা বলে! অনুগ্ৰহ করে সকলেই সম্পূর্ণ লেখা পড়ার চেষ্টা করুন।
Photo by RDNE Stock project |
এই বিষয়কে বোঝানোর জন্য আমরা নিজের পরিবারের উদাহরণ দিচ্ছি, অর্থাৎ এই বিষয় বস্তুর লেখক সোমায় মুর্ম্মু পরিবারের উদাহরণ দেওয়া হচ্ছে। আমার পরিবারের আমাকে ছেড়ে সবাই অবিশ্বাসী। বর্তমান তাঁরা খ্রীষ্টকে জানেন না, আর নাই বা খ্রীষ্টকে গ্ৰহণ করতে চায়। তাঁরা পরম্পরা গত ধর্মের অভিভুত। তো একদিন কি হয়েছে! আমার একজন পিসি। পিসির অনেক কন্যা সন্তান ছিলো। যারা আমার সম্পর্কে বোন হয়। আমার পিসি পুএ সন্তান পাওয়ার জন্য খুবই আশায় থাকতেন কিন্তু পুএ সন্তান পাচ্ছিলেন না, একদিন কি হয়ে! আমার পিসি ভগবান শিবে'র কাছে মানত (প্রার্থনা) করলেন যেন তাঁর পুএ সন্তান হয়। অবশেষে আমার পিসির ভগবান শিবের কাছে মানত (প্রার্থনা) করার ফলে পুএ সন্তান দিয়ে আশীর্বাদ প্রাপ্ত হন অর্থাৎ মানত (প্রার্থনা) উওর পেয়ে যান। তো আমরা এখানে অর্থাৎ আমার পিসির সত্য ঘটনাতে কি দেখতে পেলাম? এখানে আমরা দেখতে পাচ্ছি অন্যের ধর্মের লোকদের প্রার্থনা/ মানত পূর্ণ হয়ে যাচ্ছে। যদি বাদানুবাদ জন্য আমাদের রোমান ক্যাথলিক ভাই ও বোনদের কথা নেই, তবে এখানে আমরা দেখতে পাচ্ছি অন্য ধর্মাবলম্বীরা ও উওর পায়, তাহলে এটা বলার অর্থ কি, “যদি মরিয়মের কাছে প্রার্থনা করা উচিত নয়, তবে মরিয়মের কাছে প্রার্থনা করে উওর পাই কেন?” এই কথা যেই খ্রিষ্টানরা বলে, তারা সাধারণত মরিয়মকে ঈশ্বরের আসনে বসিয়ে রেখেছেন। কিন্তু এটি ভুল এবং বাইবেল পরিস্কার ভাবে বলে যে, ঈশ্বর কোন ব্যক্তির প্রতি প্রভেদ দেখেন না। যেমন উদাহরণ এই বাক্যে দেখুন; (মথি ৫:৪৫)।
এই বাক্য কি বলছে? এই বাক্য বলছে ঈশ্বর বিশ্বাসী অবিশ্বাসী দুই জনরই প্রয়োজন মেটায়। ঈশ্বর কখনও পক্ষপাত করে না যে, সেই লোকটি আমায় জানে না বুঝে না। আর যখনই আমার দাস-দাসীদের তার কাছে পাঠাই, সেই লোকটি আমার কথা শুনে না। তাহলে এখন তার প্রয়োজন পূরণ করব কেন? হয়তো সেই ব্যক্তি ঈশ্বরকে জানেন তা বলে কি ঈশ্বর তার ইচ্ছা পূর্ণ করবে না! নিশ্চয় না। ঈশ্বর এটা বলবে না, তুমি আগে আমাকে বিশ্বাস করে গ্ৰহণ করো। বিশ্বাস করে গ্ৰহণ করার পরেই তবে উওর দিব নচেৎ নয়। এই রকম হলে প্রত্যেক অবিশ্বাসী পূর্বেই মারা যাবে, যদি ঈশ্বর তাদের প্রার্থনার উওর না দেয়। তাহলে অবিশ্বাসীদের এই জগতে বাঁচা দুষ্কর হয়ে যাবে। একদিন মানুষ ঈশ্বর'কে বলতে পারে তুমি কেমন ঈশ্বর? যখন আমি জগতে ছিলাম, তখন তো আমার চাওয়া-পাওয়ার কথাই উওর দাওনি! এখন কি ভাবে বিচার করছো? সুতরাং ঈশ্বর বিশ্বাসী আর অবিশ্বাসীর কোনো পার্থক্য দেখে না। তিনি সবাইকে সমান চোখেই দেখেন। ঈশ্বর সবাইকে সৃষ্টি করেছেন, কিন্তু পাপের ফলে মানুষ ঈশ্বর কাছ থেকে দূর হয়েগেছে। ঈশ্বর সবাইকে সত্য ঈশ্বরকে জানার জন্য নানা সুযোগ দিয়ে থাকেন। তাই তো ঈশ্বরকে প্রেম বলা হয় যেমন বাক্য বলে;
[১ যোহন ৪:১৬] ঈশ্বর প্রেম।
ঈশ্বর যদি প্রেম না দেখায় তবে একজন পাপী মানুষ কিভাবে ঈশ্বরকে খুঁজার চেষ্টা করবে? ঠিক তদ্রূপ যখন কোনো রোমান ক্যাথলিক ঈশ্বর/ যীশুকে ছাড়া মরিয়মের কাছে প্রার্থনা করেন, সেই উওর স্বয়ং ঈশ্বর/ যীশুই দেয় মরিয়ম নয়। ঈশ্বর/ যীশু জানেন যে, এটা উচিত নয় তবুও রোমান ক্যাথলিক ভাই ও বোনদের উওর দেয়। ঈশ্বর তাঁদের প্রেম দেখায়। মরিয়মের কাছে প্রার্থনা করা উচিত কিনা এই বিষয় নিয়ে আমরা পূর্বে পোস্ট করেছি। এই বিষয় নিয়ে বাইবেল ভিত্তিক বিস্তারিত ভাবে জানতে লিঙ্ক দেখুন; “খ্রিষ্টানদের মরিয়মের কাছে প্রার্থনা করা উচিত কি?” অতএব, আমরা বাইবেলের বাক্যে হিসাবে দেখেছি যে, ঈশ্বর বৈষম্য করে প্রার্থনার উত্তর দেয় না। ঈশ্বর, খ্রিস্টানদের অখ্রিস্টানদেরও উওর দেন। (মথি ৫:৪৫) বাক্যেটি স্পষ্টভাবে বলছে যে প্রার্থনা উওর ঈশ্বর দেয় মরিয়ম নয়।
0 মন্তব্যসমূহ
আপনাদের কিছু প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই
আমাদের জানান।
ধন্যবাদ ।