✍️ এসো বাইবেল শিখি/ শিখুন।
আমাদের এই বিষয়কে নিয়ে তুলে দেওয়ার উদ্দেশ্য হল; অনেকে ভিন্ন ভিন্ন ধর্ম্ম থেকে এসে, খ্রিষ্টকে বিশ্বাস সহকারে গ্ৰহণ করেছে। যখন এই উৎসব আসে তখন নতুন ও দুর্বল বিশ্বাসীদের নানা প্রশ্নের মধ্যে সম্মুখীন হতে হয়। তাছাড়া আমরা এটাও দেখছি, অনেক খ্রিষ্টীয় বিশ্বাসী ভাইবোনদের কাছে এই বিষয়ের উওর অজানা অর্থাৎ খ্রিস্টানদের কি ভাইফোঁটা উৎসব পালন করা উচিত। যদিও বা কিছু খ্রিষ্টীয় ভাইবোনেরা এই উওর জানে তবে তাদের সঠিক অর্থে জানা নাই। এই বিষয়কে সু-স্পষ্ট করার জন্য এই আর্টিকেলটি তুলে ধরা। এবং এটাও বলা যেতে পারে যে ওই নতুন ও দুর্বল খ্রীষ্ট বিশ্বাসীদের আত্মিক ভাবে উন্নতি করার জন্য এই আর্টিকেল তুলে ধরা, তাহলে আসুন সম্পূর্ণ আর্টিকেল লেখাটি পড়ার চেষ্টা করুন।
ভাইফোঁটা কি? - What is Bhai Dooj In Bengali
ভাইফোঁটা হল হিন্দুদের একটি উৎসব। ভাইফোঁটার শাস্ত্রীয় নাম ভ্রাতৃদ্বিতীয়া বা যমদ্বিতীয়া। সাধারণত কালীপূজার দুইদিন পরে কার্তিক মাসের শুক্লদ্বিতীয়া তিথিতে ভাইবোনের পবিত্র সম্পর্কের উৎসবটি অনুষ্ঠিত হয়। এটি শুক্লপক্ষের প্রথম দিনেও পালন করা হয়ে থাকে। পশ্চিম ভারতে এই উৎসব ভাইদুজ নামেও পরিচিত। ভাইফোঁটা বাঙালির পরম্পরা একটি অন্যতম বড় উৎসব। এটা বলা যেতে পারে যে, আবেগঘন উৎসব। উৎসব বলতে আমরা সেই ধরনের উৎসবের কথা বলছি না যা পাবলিক প্লেসে হয়, যেখানে অনেক লোক সমাগম হয়। সেই উৎসবকে উপভোগ করার জন্য যেমন ধরুন; দুর্গাপূজা, কালীপূজা, গনেশ পূজা ও ইত্যাদি। ভাই ফোঁটা উৎসব বলতে এটি সাধারণত পারিবারিক উৎসব বোঝায়। ভাইফোঁটা ভাই ও বোন সম্পর্কের সমধুর ভালোবাসার উৎসব বা পার্বণ। ভাইফোঁটা এমন একটি উৎসব যা ভাই ও বোনদের ভালবাসাকে আরও সু-দৃঢ় করে তোলে। এই দিনটিতে সমস্ত পরিবার এক্যবদ্ধ হয়। ভাইফোঁটা দিনে বোন/ দিদি দেবতাদের কাছে তাদের ভাইয়ের অগ্রগতি/ দীর্ঘায়ু জন্য প্রার্থনা করে থাকেন। ভাইফোঁটার দিন বোনেরা তাদের ভাইদের কপালে চন্দনের ফোঁটা পরিয়ে দিয়ে ছড়া কেটে থাকে।
এইভাবে বোনেরা ভাইয়ের দীর্ঘজীবন কামনা করে। কখনও কখনও এই ছড়া বিভিন্ন পরিবারের রীতি অনুযায়ী পরিবর্তন হয়েও থাকে। তারপর, বোন তার ভাইয়ের মাথায় ধান এবং দূর্বা ঘাসের শীর্ষ দেন। এই সময় শঙ্খধ্বনি এবং উলুধ্বনি দেওয়া হয়। বোন তখন তার ভাইকে আশীর্বাদ করে (যদি বোন তার ভাইয়ের চেয়ে বড় হয় অন্যথায় বোন ভাইকে প্রণাম করে এবং ভাই বোনকে আশীর্বাদ করে)। এরপর বোন ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি দিয়ে ভাইকে মিষ্টিমুখ করান এবং উপহার দেন। ভাই তার সামর্থ্য অনুযায়ী বোনকে উপহার দেয়। এক দিক দিয়ে দেখলে যেন ভাই ও বোনের সম্পর্কে অপরিহার্য বলা যায়। মানে সম্পর্ক খুব সুন্দর দেখায়।
ভাইফোঁটা পৌরাণিক কাহিনী - Bhai Dooj Story in Bengali
ভাইফোঁটা যে শুধুমাত্র ভাই ও বোনের সম্পর্কে বোঝায় তা কিন্তু নয়। এর মূল শাখাও রয়েছে অন্য ধর্মাবলম্বীদের তাদের দেব-দেবীদেরকে নিয়ে। ভাইফোঁটা শুরু হয়েছিল কারণ এর পিছনে হিন্দু দেবদেবীর কিছু পৌরাণিক কাহিনী রয়েছে যেমন ধরুন:
- যম ও যমুনা পৌরাণিক কাহিনী
- শ্রীকৃষ্ণ ও সুভদ্রার পৌরাণিক কাহিনী
- বলি ও দেবী লক্ষ্মীর পৌরাণিক কাহিনী
যম ও যমুনা ভাইফোঁটা কাহিনী
পৌরাণিক গল্পানুসারে সূর্য দেবতার স্ত্রীর নাম ছিল ছায়া। ছায়ার দুই সন্তান যমুনা ও যম। ভাই-বোনের মধ্যে ছিল অগাধ স্নেহ ও ভালোবাসা। যমুনা তার ভাইকে বাড়িতে ডেকে তার সামনে বসিয়ে খাওয়াতে চেয়েছিল। কিন্তু অনেক ব্যস্ততার কারণে যম বারবার যমুনার আমন্ত্রণ রাখছিলেন না। প্রকৃতপক্ষে, যমের ভয় ছিল যে কেউ যমরাজকে তার বাড়িতে নিমন্ত্রণ করবে না। কারণ যমরাজ সবার প্রাণ নিয়ে থাকে, তাই বোনের অমঙ্গলের কথা ভেবে বোনের সাথে দেখা করতে যেতো না। অতঃপর একবার কার্তিকা মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয় তিথিতে যমুনা যমকে তার বাড়িতে ভোজনে আমন্ত্রণ জানালেন এবং তার ভাইকে আমন্ত্রণ রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দিলেন। যমরাজ তখন মহা সমস্যায় পড়েন। তখন যমরাজ অনেক ভেবে সিদ্ধান্ত নিলেন যে বোনটি তাকে এত ভালবাসা এবং মনের গভীরতা থেকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে বারবার প্রত্যাখ্যান করা উচিত নয়।
তাই একটি দিন নির্ধারিত করলেন। নির্ধারিত দিনে যমরাজ তার বোনের বাড়ি গেল। বোনের বাড়ি আসার সময় নরকের সবাইকে মুক্তি দেন। ভাইকে নিজের বাড়িতে আসতে দেখে খুব খুশি হন। কথায় বলতে গেলে ভাইকে পেয়ে যমুনার খুশির সীমা নেই। পরে পূজো পাঠ করে ভাইয়ের কপালে তিলক লাগিয়ে ভাইকে খাওয়ান। যমুনার আতিথেয়তায় যমরাজ খুবই খুশি হলেন এবং যমুনাকে বর হিসেবে তাঁর কাছে কিছু চাইতে বললেন। তখন যমুনা তার ভাইকে বলল, আমি চাই তুমি প্রতি বছর এই তিথিতে আমার বাড়িতে এসে খাবার খাবে। এছাড়াও, এই দিনে আমার মতো সব বোনেরা তাদের ভাইয়ের কপালে তিলক লাগায় এবং তার মঙ্গল কামনা করে যাতে তার ভাই যমের ভয়ে বিরক্ত না হয়। তখন যম তথাস্তু বললেন এবং তার বোনকে বস্ত্র উপহার দেওয়ার পর যমলোকে বিদায় নিলেন। সেই থেকে প্রতি বছর কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয় দিনটিকে ভাইফোঁটা হিসেবে পালন করা হয়।
শ্রীকৃষ্ণ ও সুভদ্রা ভাইফোঁটা কাহিনী
পুরাণের কাহিনী অনুসারে শ্রীকৃষ্ণ নরকাসুর নামের একটি রাক্ষসকে বধ করার পর কার্তিক মাসের শুক্ল পক্ষের দ্বিতীয়ার দিন দ্বারিকা নগরীতে ফিরে আসেন। শ্রী কৃষ্ণের অতি প্রিয় ছিল বোন সুভদ্রা। দাদার নরকাসুর বদের খবর পেয়ে বিজয় উৎসবে স্বাগত জানানোর জন্য বোন সুভদ্রা শ্রী কৃষ্ণের জন্য মঙ্গল ডালা সাজিয়ে নিয়ে এসে, শ্রী কৃষ্ণকে তিলকের ফোঁটা পড়িয়ে দ্বারিকা নগরীতে স্বাগত জানায়। সুভদ্রা তার ভাই কৃষ্ণের কপালে আনুষ্ঠানিক তিলক লাগান এবং সেখান থেকে ভাইফোঁটা উৎসব পালন হয়।
বলি ও লক্ষ্মী ভাইফোঁটা কাহিনী
একদা প্রবল পরাক্রমশালী বলির হাতে বিষ্ণু পাতালে বন্দি হন। দেবতারা পড়েলেন মহা বিপদে, কারন কোন মতেই তাঁরা নারায়ণকে বলির কবল থেকে মুক্ত করতে পারছিলেন না। শেষ পর্যন্ত এগিয়ে এলেন স্বয়ং লক্ষ্মী। তিনি বলিকে ভাই হিসেবে স্বীকার করেন। সেই উপলক্ষে তাঁর কপালে তিলক এঁকে দেন। ভ্রাতৃত্বের বন্ধন তখন স্বীকার করে বলি লক্ষ্মীকে উপহার দিতে চাইলে লক্ষ্মী চেয়ে নেন ভগবান বিষ্ণুকে। সেই থেকেই ভাইফোঁটা উৎসবের সূচনা হয়।
ভাইফোঁটা পালন সম্পর্কে বাইবেলের পরিভাষা
আমরা দেখেছিলাম যে এই উৎসব হিন্দুদের (অবিশ্বাসী) পরম্পরা কি ভাবে জুড়ি রয়েছে। তা অবিশ্বাস করা যায় না। এখন এই অবিশ্বাসীদের উৎসব পালন করা যায় কিনা তা এই বাক্যে সুস্পষ্ট ভাবে উওর দেয় যথা; (ইফিষীয় ৪:১৭, ৫:৮)। এই বাক্যে পরিস্কার করে বলে অনুচিত। বাইবেল বলে যখন আমরা অবিশ্বাসী ছিলাম। তখন আমরা অবিশ্বাসীদের মতো এই জগতের জীবন যাপন করছিলাম। কিন্তু এখন আমরা বিশ্বাস করে প্রভুর কাছে এসেছি বলে ঈশ্বরকে পেয়েছি৷ এখন আমরা আগের মতো কোনো ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃত চর্চা করতে পারি না। কারণ এখন আমরা নতুন সৃষ্টি। এখানে আমরা বিশ্বাসীদের কথা বলছি। যারা বিশ্বাস করে ঈশ্বর/যীশুকে পেয়েছে। পুরাতন বিষয় ত্যাগ করে নতুন করা হল অর্থাৎ ঈশ্বরকে পরিধান করা, সেই অর্থে আমরা অন্যান্য জাতির মতো কিছু করতে পারি না।
এখানে কিছু ওভার স্মার্ট খ্রিস্টানরা বলে আমি কোনো আচার-অনুষ্ঠান করি না। কিন্তু আমার বোন এবং ভাই অবিশ্বাসী। তখন তারা বলে; আমি আমার বোন বা ভাইকে তার ভালবাসা এবং স্নেহের জন্য ফোঁটা দিই। ওই ওভার স্মার্ট খ্রিস্টানদের উদ্দেশ্যে কিছু কথা আচ্ছা, আপনি যখন প্রেম বা ভালোবাসার জন্য আপনার বোন বা ভাইকে ফোঁটা দিচ্ছেন। তাহলে আপনি কেন আপনার ভাই বোনদেরকে ঈশ্বরের কথা বলেন না? আমরা বলতে চাচ্ছি, আপনি কেন প্রভু যীশুর সমাচার শোনাচ্ছেন না! আপনি কি চানা তোমার বোন আর ভাইকে নরক থেকে উদ্ধার পায়! সেই নরক থেকে রক্ষা পেয়ে অনন্ত জীবন পায়। সেই জ্বলন্ত আগুন যা ঈশ্বর অবিশ্বাসীদের জন্য নিযুক্ত করেছেন যেমন এই সব বাক্যে বলে; (প্রকাশিত বাক্য ২১:৮, ২০:১৪, ২২:১৫, ১ করিন্থীয় ৬:৯-১০, ১৫:৫০)।
আমরা ওই ওভার স্মার্ট খ্রিস্টানদের জিজ্ঞাসা করতে চাই, আপনি যদি আপনার পরিবারকে ভালোবাসেন তবে এই দিনটি কেন? বছরে আরো অনেক মাস, দিন আছে, তো বাকি দিন গুলোতে ভালোবাসা উদযাপন করেন না কেন? নাকি আপনি এখনও প্রভুর কাছে এসে অন্য ধর্মের রীতিনীতিতে বিশ্বাস করেন? নাকি চিরতরে সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার ভয়ে এসব করছেন? এর মানে কি প্রভু যীশুর চেয়ে নিজ পরিবারদের জন্য অধিক দরজা দিয়েছেন? আপনি যদি অধিক দরজা দিয়ে থাকেন, তাহলে এই বাক্যটি দেখতে পারেন, বাক্যে কি বলে দেখুন যথা; (মথি ১০:৩৭, লূক ১৪:২৬)। প্রভু যীশু স্পষ্টভাবে বলেছেন, আপনি যদি প্রভু যীশুর চেয়ে আপনার পরিবারকে বেশি জায়গা দেন তবে আপনি প্রভু যীশুর শিষ্য হতে পারবেন না। আপনি যদি ঈশ্বরের জন্য দাঁড়াতে না পারেন। ঈশ্বর/প্রভু যীশু কি বলেছেন তা একবার দেখে নেওয়া যাক।
প্রভু যীশু স্পষ্ট রূপেই বলছেন, যদি আপনি প্রভু যীশু থেকে অধিক নিজের পরিজনগণকে অধিক জায়গা দিয়েছেন তো আপনি প্রভু যীশুর শিষ্য হতে পারেন না। কোথায় বলতে গেলে নাম মাএই আপনি বিশ্বাসী হয়েছেন। আপনাকে অবশ্যই ঈশ্বর/ যীশুর জন্য দাঁড়াতে হবে। ঈশ্বর/ প্রভু যীশু কি বলেছিলেন একটু বাক্য দেখে নেওয়া যাক যথা; (মথি ২২:৩৭-৩৮)। এই বাক্যের কথা পুরাতন নিয়মে ইস্রায়েলদেরকে ও বলা হয়েছিল যথা; (দ্বিতীয় বিবরণ ৬:৪-৫)। বাইবেল সবসময় বলে যে ঈশ্বরকে আপনার প্রতিবেশীর উপরে রাখুন। তা বলে বাইবেল এটি বলে না যে, আপনার পরিবারের সদস্যদের যত্ন নেওয়া উচিত নয় বা তাদের ভাল বা খারাপ বোঝা উচিত নয়। আপনার ভাই বা বোন অবিশ্বাসী হওয়ার অর্থ এই নয় যে আপনার তাদের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করা উচিত। অবশ্যই আপনার পরিবারের কথা ভাবতে হবে যেমন এই বাক্যটি বলে যথা; (১ তীমথিয় ৫:৮)।
অবশ্যই আপনার পরিবারের জন্য চিন্তা করা উচিত, তাদের সমস্ত দায়িত্ব আপনার উপর। ঈশ্বর আপনাকে পরিবার দিয়েছেন যাতে আপনি আপনার পরিবারের সাথে থাকতে পারেন। বাইবেলে শুধু বিশ্বাসের সাথে কিছুই চুক্তি করতে না বলে। যদি আপনার বিশ্বাস আপনার পরিবার দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হয়। তাহলে সেই খ্রীষ্ট ভাই-বোন খ্রীষ্ট বিশ্বাসীদের ঘরে আশ্রয় নিতে পারে। অবশ্যই, আপনার পরিবারের প্রতি কোনো খারাপ অনুভূতি রাখবেন না। পরিবর্তে, আপনি সর্বদা আপনার পরিবারের জন্য ঈশ্বরকে জানতে প্রার্থনা করতে পারেন।
উপসংহার
আমরা সম্পূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে বাইবেল ভিওিক যাচাই করে দেখলাম, যে বিধর্মীয়দের উৎসব উদযাপন করা অনুচিত বোঝায়, যা বাইবেল আমাদের দৃঢ়ভাবে নিষিদ্ধ করে। সুতরাং একজন খ্রীষ্ট বিশ্বাসীকে এই উৎসব উদযাপন করা উচিত নয়। তাছাড়া খ্রীষ্ট বিশ্বাসীদের জানা দরকার যে, কোন উত্সব উদযাপন করা, এর অর্থ ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃত রীতিরিবাজ পালন করে উত্সব উদযাপন করা এবং একই সাথে অন্যদের সাথে উত্সব উপভোগ করা বোঝায়। হয়তো আপনি কোন রীতিরিওয়াজ করেন না। কিন্তু আপনি সেই ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতকে স্বীকৃতি দিচ্ছেন।
ঈশ্বর সকলকে বোঝার মত জ্ঞান প্রদান করুন।
আমেন।।
0 মন্তব্যসমূহ
আপনাদের কিছু প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই
আমাদের জানান।
ধন্যবাদ ।