খ্রিস্টানদের কি ভ্যালেন্টাইন ডে পালন করা উচিৎ?
লেখকঃ- এসো বাইবেল শিখি/শিখুন।
আজকের বিষয় বস্তু তা বিশ্বাসী যুবক-যুবতী হোক বা না হোক উভয়ের ক্ষেত্রেই খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের জানা জানা প্রয়োজন যে, ভ্যালেন্টাইনস ডে কি? এর উদ্ভব কি ভাবে হয়? মানে প্রচলোন কি ভাবে হয়? এই উৎসব প্রতীক কি? অর্থাৎ লক্ষণ কি বোঝায়? এখানে ভ্যালেন্টাইনস ডে নিয়ে তেমন কিছু আলোচনা করা হচ্ছে না। যদি ভ্যালেন্টাইনস ডে নিয়ে আরোও গভীর ভাবে জানার আগ্ৰকতা থাকে তো আপনারা গুগলে সার্চ করতে পারেন Valentine's Day Wikipedia বলে! তবে সংক্ষেপে এখানে খানিকটা আলোচনা করা হচ্ছে।
Image by gpointstudio on Freepik |
ভ্যালেন্টাইন ডে নামের উৎপত্তি।
ভ্যালেন্টাইন কীভাবে পালনের স্বীকৃতি পায়?
কিছু পক্ষ এই বাক্যে দেখে বলে যে, এখানে ঈশ্বর, ইস্রায়েলদেরকে, বলছেন আমাদেরকে তো নয়!আপনাদেরকে বলি ঈশ্বর ইস্রায়েলকেই, তাঁর কার্য বা সুসমাচার প্রচারিত করা জন্য মনোনীত করেছিলেন। তাদের মাধ্যমেই এই জগতে অন্য জাতিদের কাছে তাঁর বাক্য বা সত্যকে পৌঁছাতে চেয়ে ছিলেন। ঈশ্বর সবাইকে নিজের প্রজা করার জন্য ইস্রায়েলকে বেছে নিয়ে ছিলেন; (দ্বিতীয় বিবরন ৭:৬)। কিন্ত আমরা জানি ইস্রায়েল ঈশ্বরের আজ্ঞা উলঘন করত মানে পালন করতে পারত না। আর আজ্ঞা পালন না করার জন্য ঈশ্বর তাদেরকে দণ্ড ও দিতেন। কিন্ত এখন ঈশ্বর সমগ্ৰ জাতির জন্য তাঁর একমাএ পুএকে বলিদান করেছিলেন যেমন বাক্য বলে; (যোহন ৩:১৬)।
Note: এই বাক্যেয় এখানে বলছেন যে কেহ তাঁহাকে বিশ্বাস করে। যে কেহ বলতে এখানে অন্য জাতিও বোঝায় যেমন, আমরা মানে সবায়কে বোঝায় ইস্রায়েলকে ছেড়ে। অতএব ঈশ্বর আমাদেকে মূল্য দিয়ে কিনে নিয়েছেন এখন আমরা তাঁহার; (১ করিন্থীয় ৬:২০)। এখানে বিশ্বাসীদের কথা বলা হচ্ছে, যারা বিশ্বাস করে ঈশ্বরকে গ্ৰহণ করেছেন। আমরা ঈশ্বরকে পরিধান করেছি পুরাতন বিষয়কে ত্যাগ করেছি নূতন ভাবে সৃষ্টী হলাম। সেই অর্থে অন্য জাতিদের মত কিছু করতে পারিনা। ঈশ্বরের বাক্যের মত আমাদেরকে পবিএ হওয়া দরকার; (লেবীয় পুস্তক ১১:৪৪)।
বর্তমান দিনে ভ্যালেন্টাইন ডে একটা লাভ অ্যান্ড রোমান্সতে পরিনত হয়ে গেছে মানে Enjoy (আনন্দ) করা বোঝায়। তা ভালোলাগা থেকে শুরু হয় অর্থাৎ হাত ধরা থেকে, সম্পর্ক শুরু হয় আর সেই সম্পর্ক কোথায় শেষ হয় তা আপনারা সবায় ভালোভাবে জানে। যদি কোন যুবক-যুবতীদেরকে বল যে এই সব গার্লফ্রেন্ড-বয়ফ্রেন্ড তৈরি করা ভূল, বা পাপ কাজ এবং এটি ব্যভিচার করা বোঝায়। তখন এমন অনেক লোক আছে আপনাকে বলবে যে জ্ঞান দিতে হবে না। অতএব তার ইচ্ছা সে কি ভাবে জীবনের আনন্দ নিতে চায়। আমি-আপনি তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে কিছু করতে পারি না। আমরা তো তাকে শুধু ঈশ্বরের সুসমাচার শুনাতে পারি। বর্তমান দিনে এখন এমন ভাবে প্রেমের সঙ্গ দেওয়া হয়েছে যে যেমন ধরুন; রোমিয়-জুলিয়েট, লেয়লা-মজনুর প্রেমের কাহীনি। এমন কি চলচ্চিত্র জগৎ এমন ভাবে প্রেমকে নিয়ে দেখা হয় যা, যুবক-যুবতীদের বা লোকের মন-মেজাজে এমন ভাবে প্রেমের হাওয়া ঢুকে যায় যেটা থেকে বেরনো অসম্ভ হয়ে উঠে। এখন কেন এত খবর শুনা যায় যে, এক প্রেমিক বা প্রেমীকা আত্ম হত্যা করেছে? বা এখন খুবই অল্প বয়সে মেয়েরা গর্ভবতী হয় যাদের বিয়েই হয়নি এবং গর্ভপাত করা় হয় মানে সন্তানকে নষ্ট করা হয় কেন?
এখন ভ্যালেন্টাইনস ডে বেশি ব্যভিচার করা হয়। এমনকি ব্যভিচার করতে দেওয়া হয়, তা বলে তারা আগে ব্যভিচার করেনি তা বলতে চাওয়া হচ্ছে না। হাঁ ভ্যালেন্টাইন্স ডে আগেও ব্যভিচার করা হয় থাকে, কিন্ত এখন ভ্যালেন্টাইন্স ডে এক সপ্তাহ ধরে পালন করা হয়। এটা ঠিক যে ভ্যালেন্টাইন্স ডে'র কোন সরকারি ছুটি নেই। ছুটি না থাকলেও কি হয়েছে সবায় এই দিনকে Love & Roman's Day বলে Valentine's Day কে উপভোগ করেন। আচ্ছা ঈশ্বর কি কখন চায় যে একজন ব্যক্তি বিয়ের আগে বিভিন্ন রকম সম্পর্কে লিপ্ত হউক বলে! এর উত্তর নিশ্চয় না। শয়তানই বলবে আরে ভাই, বোন কি হয়েছে তুমি একাধিক সম্পর্ক তৈরী করতে পার। জীবনটাকে উপভোগ করার জন্য একাধিক মেয়ে-ছেলের সাথে শারীরিক সম্পর্ক তৈরী করতে পার। শয়তান ঈশ্বরের বিরুদ্ধে কাজ করে আর কখনও শয়তান চায়না যে মানুষ সত্যকে জানুক বলে! তাই শয়তান বিভিন্ন ধরনের মনোরঞ্জন দিয়ে মানুষকে মাতিয়ে রাখে। মনোরঞ্জন ফলে মানুষের আর সময় হয়না, যে সেই সত্যকে অনুসন্ধান করে বলে। আমরা জানি যে এই জগতের ঈশ্বর হচ্ছেন শয়তান যেমন বাক্য ও বলে; (২ করিন্থীয় ৪:৪)।
ঈশ্বর আমাদেকে সৃষ্টি করেছেন আর ঈশ্বরই আমাদেরকে সেক্সুয়ালিটি অঙ্গ দিয়েছেন। ঈশ্বর চায় যেন সবায় সেক্স'র আনন্দ উপভোগ করুক। সেক্সের আনন্দ উপভোগ করে তাঁর রাজ্যের জন্য একটা পরিবার তৈরী করি। কিন্ত তা অর্থাৎ (সেক্স) বিবাহের আগে নয় বা বিয়ে করার পরে ও নয় তা বিয়ের মধ্যে যেন হউক। ঈশ্বর যখন আদম ও হবার বিয়ে দিয়েছিলেন তখন তাদেরকে আশীর্বাদ করেছিলেন অর্থাৎ সাধারণ ভাষায় বলতে গেলে আমাদের প্রজনন ক্ষমতা দিয়েছিলেন বা প্রজনন অঙ্গকেও আশীর্বাদ করেছিলেন যেমন বাক্য বলে; (আদিপুস্তক ১:২৮)।
উপসংহার: বাইবেলে কোন ভালেন্টাইন ডে বলে কিছু উল্লেখ নেই। তাই একদিক দেখলে খ্রিস্টানরা ভ্যালেন্টাইন্স ডে উদযাপনের ব্যাপারে স্বাধীন। তবে আর একদিক দিয়ে দেখলে অনুচিত। কারণ এই দিন বাইবেল বিরুদ্ধে উত্থাপিত পাপকে সঙ্গ দেওয়া বোঝায়, যেখানে বিয়ের করার পূর্বে এই দিন উদযাপন করার ফলে সকলে নানা শারীরিক ব্যভিচারে লিপ্ত থাকে। এখানে ঈশ্বরের বাক্যকে তিরস্কার বা নিন্দা করা বোঝায়; (ইব্রীয় ১৩:৪)। ঈশ্বরের এই বাক্যেয় পরিস্কার ভাবে বলছে সকলকে বিবাহ সম্পর্কে সন্মান করা উচিৎ। এবং বিবাহ-শয্যা শুচিশুদ্ধ রাখতে বলছে। বাইবেল পূর্বে কোন ভাবে ক্লোজলি সমর্থন করেন না। বিয়ে করার পূর্বে কোন ভাবে একজন ছেলে একজন মেয়েকে বা একজন মেয়ে একজন ছেলেকে স্পর্শ করতেই পারবে না উদাহরণ স্বরূপ এই বাক্যে দেখুন যথা; (১ তীমথিয় ৪:১২)।
অতএব প্রত্যেক পুরুষ (ছেলে) ও নারী (মেয়ে) নিজের নিজের শরীর স্বামী বা স্ত্রীর জন্য পবিএ হওয়া দরকার বা রাখা প্রয়োজন। এই দিনতে সমগ্ৰ দেশে ব্যভিচার হয়, এবং জেনে বা অজান্তে এটি পাপের সঙ্গ দেওয়া বোঝায় তাই এটি খ্রিষ্টীয় বিশ্বাসীদের উদযাপিত করা উচিৎ নয়। খ্রীষ্ট বিশ্বাসীদের, ঈশ্বরের বাক্যের বিরুদ্ধে উত্থাপিত কোন কিছুর সঙ্গ দেওয়া উচিৎ নয়।
-----------------------------------------------------------
তথ্যসূত্র:
1. "Valentine's Day | Definition, History, & Traditions". Encyclopedia Britannica. (ইংরেজি ভাষায়)
2. "Catholic Encyclopedia: St. Valentine". newadvent.org (ইংরেজি ভাষায়)
3. "Book of Saints – Pope Gelasius". CatholicSaints.Info. (ইংরেজি ভাষায়)
4. “Catholic Encyclopedia (1913)/Pope St. Gelasius I”. Catholic Encyclopedia. (ইংরেজি ভাষায়)
5. “Lupercalia”. Encyclopædia Britannica. Vol. 17 (ইংরেজি ভাষায়)
2 মন্তব্যসমূহ
এইসব কাহিনী কোন বই থেকেসংগ্রহ করা হয়েছে জানতে পারি।
উত্তরমুছুনপোস্টটি পুনরায় দেখে নিতে পারেন কারণ কাহিনীটি কোথায় থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে তার সোর্স যোগ করা হয়েছে। ধন্যবাদ।।
মুছুনআপনাদের কিছু প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই
আমাদের জানান।
ধন্যবাদ ।