খ্রিস্টানদের কি প্রপোজ ডে পালন করা উচিত?
লেখকঃ- এসো বাইবেল শিখি/ শিখুন।
আজকের বিষয় একটু অন্য ধরনের। হয়তো বা পাঠক-পাঠিকারা ভাবতে পারে এটি আবার কেমন ধরনের বিষয় বস্তু? খ্রীষ্ট বিশ্বাসী, এত তাড়াহুড়ো করবেন না, ধৈর্য ধরুন। ধৈর্য ধরে লেখাটি পড়ার চেষ্টা করুন। তাহলে চলুন আর দেরি না করে আলোচনায় এগিয়ে যাই। এই বিষয়ে আলোচনা করার আগে, পাঠকদের নিচের বিষয়টি বিবেচনা করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে, যেটির শিরোনাম হল; খ্রিস্টানদের রোজ দিবস পালন করা উচিত কি?
৮ ফেব্রুয়ারি প্রপোজ ডে কি?
প্রপোজ ডে হল; ভ্যালেন্টাইন’স ডে সপ্তাহের দ্বিতীয় দিন। এই দিন মনের ভাবভঙ্গি বা অনুভূতি প্রকাশ করার দিন।এক কোথায় প্রপোজ ডে হচ্ছে প্রেমিক ও প্রেমিকাদের দিবস/ দিন। একজন প্রেমিক তার প্রেমিকাকে, নিজের প্রেম প্রস্তাব প্রদান করেন বার্তা লাভের সাহায্য। তাছাড়া এই আধুনিক যুগে চলচ্চিত্রের জগতের প্রভাবের অনেক প্রেমিকেরা চলচ্চিত্রের স্টাইলে নিজের ভালোবাসাকে প্রদান করেন। তখন প্রেমিকা প্রভাবিত হয়ে প্রস্তাব স্বীকার করে নেয়। একেই সাধারণ ভাষা প্রপোজ ডে বলে।
প্রপোজ ডে ইতিহাস
যদিও প্রপোজ ডে পালন করার নিয়ে ঐতিহাসিক ভাবে নির্ভরযোগ্য তথ্য পাওয়া যায়নি, তবে এটি ভ্যালেন্টাইন'স সপ্তাহের একটি অংশ হিসাবে শুরু হয়। যা শতাব্দী ধরে পালন করা হয়। তবে এটি পশ্চিমা বিশ্বে শুরু হয়েছিল বলে বিশ্বাস করা হয়, এবং ভারত, বাংলাদেশ সহ অন্যান্য দেশেও ছড়িয়ে পড়েছে। তবে ১৫ শতকে শিকড় ছিল বলে বিশ্বাস করা হয়। বলা হয় ১৪৭৭ সালে অস্ট্রিয়ান আর্চডিউক ম্যাক্সিমিলিয়ান একটি হীরার আংটি দিয়ে বারগান্ডি মেরিকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন। এর অনেক বছর পর আর একটি ঘটনা শুনা যায়, যেখানে ১৮১৬ সালে রাজকন্যা শার্লটের সঙ্গে ভবিষ্যতে স্বামী অর্থাৎ হবু স্বামীর বাগদান এই দিন হয়। এর অনুপ্রেরণায় ভ্যালেন্টাইন'স সপ্তাহের দ্বিতীয় দিন প্রপোজ ডে পালন করা হয়।
আমরা প্রপোজ ডে কি! এবং প্রপোজ ডে'র ইতিহাস কি! তা জানলাম। আমরা জেনেছিলাম, যখন কোন মেয়ে প্রেম প্রস্তাব স্বীকার করেন তখন থেকে তারা একের অপরের হয়ে যায়। অর্থাৎ শুরু হয়ে যায় ব্যভিচারের প্রথম ধাপ। তা ফোনে কথা বলা, এখন তো ভিডিও কলের যুগ, তাই ভিডিও কলে থেকে শুরু করে নানা মাধ্যমে কথা বলা। যখন খুশি মন চায় আপন জনের সাথে দেখা করতে, তা খুব সহজেই হয়ে যায়। তখন ভালোবাসা এমন ভাবে মন মেজাজে ডুকে যায় যে, কোথায় আছে না জলের অপর নাম জীবন ঠিক তদ্রুপ প্রেমের অপর নাম জীবন হয়ে উঠে। এই প্রপোজ ডে শারীরিক আশা-আকাঙ্ক্ষাই অধিকাংশ থাকে।
Image by Mohamed Hassan from Pixabay |
বতর্মান যুগে আমাদের খ্রিষ্টীয় যুবক যুবতীগণ, ঈশ্বরের সেই মধূরময় প্রেমকে ভূলে গিয়ে, জগতের প্রেমকে আপন করে নিয়েছে। জগতের প্রেমকে অধিক গুরুত্ব দেয়। ঈশ্বরের সেই মধূরময় প্রেমকে তেমন একটা গুরুত্ব দেওয়া হয়না। যেই প্রেমের জন্য যীশুর দুই হাতে ও পায়ে কাঁটার পেরেক স্বীকার করে রক্ত ঝরিয়ে ছিলেন। তথাকথিত খ্রিস্টানদের ভালো লাগবেই বা কোথায়! কারণ সেই তথাকথিত খ্রিস্টানদের কাছে সুইট গার্ল, কিউট গার্ল, হ্যান্ডসাম বয় ইত্যাদি ইত্যাদি ভালোবাসার হাওয়া যে ঢুকে গেছে। যেই হাওয়াতে শুধুমাত্র ব্যভিচারই হয়, এছাড়া আর কোনো কিছু নয়। হ্যাঁ এই বিষয় বস্তুর লেখক নিজে আমিও আপনাদের মতো আমি ও কোনো এক সময়, এই পিছনে দৌড় দৌড়ি করছিলাম। কিন্তু ঈশ্বরের মহিমা হোক, ঈশ্বর সেই সব ব্যভিচার থেকে আমাকে অনেকটাই দূর করে ফেলেছেন। প্রিয়রা শয়তান আপনাকে প্রপোজ ডে মাধ্যমে ধব্বংসের পথের দিকে ধাবিত করছেন। দয়া করে আমার খ্রিষ্টীয়ত যুবক যুবতীগণ জাগ্ৰত হন। এই সব জাগতিক প্রপোজ ডে থেকে দূর হোন। যারা প্রপোজ ডে পালন করেন এই বাক্য হিসাবে নিজেকে পরিবর্তন করুন যথা; (রোমীয় ১২:২, গালাতীয় ১:৪)।
ঈশ্বর সকলকে বোঝার মত জ্ঞান প্রদান করুন। আমেন।।
0 মন্তব্যসমূহ
আপনাদের কিছু প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই
আমাদের জানান।
ধন্যবাদ ।