বতর্মান দিনে পঙ্গপাল কি বাইবেলের ভবিষ্যৎ বানী?
লেখকঃ এসো বাইবেল শিখি/ শিখুন।
কয়েক মাস পূর্বে ভারতে পঙ্গপালের হানা হয়। তখন এই খবর অনেক চর্চায় ছিল। কোথায় বলতে গেলে ভারতের সর্বাধিক সংবাদ এটি কভারেজ দিচ্ছিল। তখন মুসলিম ও খ্রিষ্টীয়ানদের মাধ্যমে এই খবর সোশ্যাল মিডিয়া অনেক ঘুরপাক খাচ্ছিল। যেমন ফেসবুক, ইউটিউব, আরোও ইত্যাদি ইত্যাদি জায়গায়। কিন্তু এই দুটি সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশি বেশি পোস্ট ও শেয়ার করা হচ্ছিল। তাছাড়া আমরা দেখছিলাম কিছু সংবাদ তো, এটি শাস্ত্রনুরূ হাইলাইট করছিল। আমাদের কিছু খ্রিষ্টীয় বন্ধু ও আমাদের এই বিষয় নিয়ে হাইলাইট করছিল বলছিল দেখ, ভাই বাইবেলের পঙ্গপালের ভবিষ্যৎ বানী কতটা সঠিক।
কয়েক মাস পূর্বে ভারতে পঙ্গপালের হানা হয়। তখন এই খবর অনেক চর্চায় ছিল। কোথায় বলতে গেলে ভারতের সর্বাধিক সংবাদ এটি কভারেজ দিচ্ছিল। তখন মুসলিম ও খ্রিষ্টীয়ানদের মাধ্যমে এই খবর সোশ্যাল মিডিয়া অনেক ঘুরপাক খাচ্ছিল। যেমন ফেসবুক, ইউটিউব, আরোও ইত্যাদি ইত্যাদি জায়গায়। কিন্তু এই দুটি সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশি বেশি পোস্ট ও শেয়ার করা হচ্ছিল। তাছাড়া আমরা দেখছিলাম কিছু সংবাদ তো, এটি শাস্ত্রনুরূ হাইলাইট করছিল। আমাদের কিছু খ্রিষ্টীয় বন্ধু ও আমাদের এই বিষয় নিয়ে হাইলাইট করছিল বলছিল দেখ, ভাই বাইবেলের পঙ্গপালের ভবিষ্যৎ বানী কতটা সঠিক।
Photo by Oladimeji Ajegbile |
আলোচনা করার আগে বলে দেওয়া ভালো হবে, যে খ্রীষ্টিয়ান কি বলে! খ্রিষ্টীয়ান কোন ধর্ম মাএই নয়। খ্রিষ্টীয়ান হল বিশ্বাসের প্রতীক। কিন্তু নিজেকে জগতের কাছে ঘোষণার করার জন্য ধর্ম হিসেবে উল্লেখ করা হয়। ধর্ম রিতীরিবাজ মাধ্যমে হয় কিন্তু খ্রিষ্টীয়ান বিশ্বাসের প্রতীক। ধর্ম বাইরে থেকে দেখা যায়, কিন্তু বিশ্বাস নয়। কারণ বিশ্বাস অন্তরের ভিতরে থাকে। সংক্ষেপে জানা গেল খ্রীষ্টিয়ান কি বলে। এখন আমার ওই নামধারী খ্রিষ্টানদের সম্পর্কে আসি। খ্রিষ্টীয় মধ্যে যারা ভ্রান্ত শিক্ষা প্রচার করে তাদের খণ্ডন করা আমাদের ন্যায্য যেমন বাক্য বলে; (১ তীমথিয় ৪:১)। পবিত্র আত্মা সস্পষ্ট ভাবে বলে দিয়ে যে, শেষকালে লোকেরা বিশ্বাস হতে দূরে সরে যাবে। সেই ভণ্ডামি প্রচারকদের ফলে। সেই ভণ্ডামি প্রচারকরা বলে বেড়াবে যে, আমি পবিত্র আত্মার সহয়তা বলছি কিন্তু না, এই ভণ্ডামি প্রচারকদের ভূতগণের স্বরূপ উপমা দেওয়া হয়েছে। দুর্বল খ্রীষ্ট বিশ্বাসদের এই ভণ্ডামি প্রচারক তাদের শিক্ষাকে ভূতগণের শিক্ষা বলে বাইবেল শিক্ষা দেয় তাদের কাছে রক্ষা করা উচিত। তাই ঈশ্বর সাধূ পৌলের দ্বারা সুদৃঢ় ভাবে বলেছেন, কি বলেছেন তা জানতে এই বাক্যে দেখুন যথা; (২ তীমথিয় ৪:২)।
ভণ্ডামি প্রচারকরা বতর্মান দিনে পঙ্গপাল এর জন্য সাধারণত দুটি পুস্তকের বাক্য তুলে ধরে থাকে; (যাএাপুস্তক ১০:১-১৫, প্রকাশিত বাক্য ৯:৩)। এই দুটি পুস্তকের বাক্য গভীর ভাবে আমরা এখন মনোনিবেশ করা চেষ্টা করব।
পটভূমিঃ- অব্রাহামের ঈশ্বর, ইসহাকের ঈশ্বর, যাকোবের ঈশ্বর, তিনি আপন পবিত্র প্রজা মিসরস্ত থাকা ইস্রায়েলদের প্রতি কষ্ট, যাতনা, দুঃখ ভোগ দেখে ছিলেন। তিনি চেয়ে ছিলেন যে তাঁর পবিত্র প্রজা ইস্রায়েলদের মিস্রীয়দের হাত থেকে রক্ষা পায়। আর আপন দাস অব্রাহামের প্রতি প্রতিজ্ঞা করা সেই দুগ্ধমধূপ্রবাহী দেশ যেন দেন। এবং ঈশ্বর চেয়ে ছিলেন যেন ইস্রায়েল জীবন্ত ঈশ্বরের সেবা করে। ঈশ্বর মোশিকে ঝোপের মধ্যে দেখা দিয়ে, মোশিকে ফৌরণের কাছে পাঠিয়ে ছিল, যেন ফৌরণ ঈশ্বরের মনোনীত পবিত্র প্রজা ইস্রায়েলদেরকে তাঁর সেবা করার জন্য ছেড়ে দেয়। কিন্তু ফৌরণের মনে এত গর্ব, অহংকার জমে গেছিল যে ঈশ্বরের পবিত্র প্রজা ইস্রায়েলদের ছাড়তে চাইছিল না। তখন ঈশ্বর ফৌরণকে তাঁর পরাক্রম দেখাতে চাইছিল। যদি জীবন্ত ঈশ্বরকে বা তার পবিত্র প্রজাদের হালকায় নিলে কি হয়! তাই ঈশ্বর পুরো মিসরে বিপত্তি নিয়ে আসে। মনে রাখবেন ফৌরণ কোন ব্যক্তির নাম নয় যেমন সমালোচরা বলে বেড়ায়। ফৌরণের হিব্রু নাম (פַרְעֹה-Paroh) যার অর্থ (প্রাচীন মিশরের রাজার উপাধি)। ঈশ্বর ফৌরণেকে কি বলেছিল এই বাক্যে দেখুন; (যাএাপুস্তক ১০:৪-৫)।
নোট করুন; এই বাক্যেয় বলা হয়েছে এত পরিমাণে পঙ্গপাল দেশে আসবে যে, তখন দেশে মাটি পর্যন্ত দেখা দিবে না। শিলা বৃষ্টি থেকে যে সব গাছপালা ও নতূন যত গাছপালা গজাচ্ছে সেই গুলো ও পঙ্গপাল খেয়ে ফেলব। এছাড়াও ঈশ্বর কি বলেছেন তা জানতে এই বাক্যেও পড়ুন; (যাএাপুস্তক ১০:৬)।
নোট করুন; - এই বাক্যেয় বলা হয়েছে ফৌরণের ও তার দাসের ও সমস্ত মিসরীয় লোকের ঘরে পঙ্গপাল ছেয়ে যাবে। মানে শুধু যে পঙ্গপাল গাছপালা আক্রমন করবে তা কিন্তু নয় লোকদের ও আক্রমণ করবে। মিসরে এত পরিমাণে পঙ্গপাল আসবে, ফৌরণের পূর্ব্ব পুরুষ তার বাপ-দাদা তার বাপ-দাদা পর্যন্ত দেখেনি। এরপর কি হলো তা জানতে এই বাক্যে দেখুন; (যাএাপুস্তক ১০:১৫)।
নোট করুন; - এই বাক্যেয় বলা হয়েছে তখন, পঙ্গপাল আসল তখন সমস্ত মিসর অন্ধকার হয়ে গেল। এবং শিলাবৃষ্টি থেকে অবশিষ্ট থাকা গাছপালা ও মাঠেঘাটে বেড়ে ওঠা সবকিছু এবং গাছের ফলমূল সেগুলি খেয়ে ফেলল। তখন মিসরে সবুজ গাছপালা বলে আর কিছুই থাকল না। এখন প্রশ্ন দাঁড়ায়, ভারতে আসা পঙ্গপাল কি মিসরের আসা পঙ্গপালের মতো পুরো ভারত (ভারতের রাজ্য) অন্ধকার হয়েছিল? উওর মটেও না। যদি না তবে কেমন করে বতর্মানের পঙ্গপাল মিসরের পঙ্গপাল এর সঙ্গে যোগ করতে পারে?
প্রশ্নঃ - ভারতে আসা পঙ্গপাল সমস্ত গাছপালা, লতাপাতা ও ফল মূল কি খেয়ে ফেলেছিল?
উওরঃ- না। যদি না তবে কেমন করে কেউ মিসরে পঙ্গপালের সঙ্গে বতর্মানে আসা পঙ্গপাল যোগ করতে পারে।প্রশ্নঃ- ভারতে আসা পঙ্গপাল পুরো ভারতে একসঙ্গে ও একবারে কি এসছিল?
উওরঃ- না।প্রশ্নঃ- ভারতে আসা পঙ্গপাল কি মিসরে আসা পঙ্গপালের মতো সমস্ত ভারতীয় ঘরে হানা দিয়ে ছিল?
উওরঃ- না।আমরা দেখলাম যে, ভারতে আসা পঙ্গপাল মিসরের আসা পঙ্গপালের সঙ্গে একটু খাপ খায়না। সুতরাং বতর্মানের আসা পঙ্গপাল এর সঙ্গে মিসরে আসা পঙ্গপালের সঙ্গে তুলনা করা উচিত নয়। পঙ্গপাল সম্পর্কে ঈশ্বর কি বলেন তার উওর এই বাক্যেয় রয়েছে; (যাএাপুস্তক ১০:১৪)। মিসরের আসা পঙ্গপালের মতোন পৃথিবীতে আর কখনও এত ভয়ানক পঙ্গপাল আসবে না। তবে হাঁ অনকে বলতে পারে, প্রিয় এটা তো হতে পারে যে বতর্মানে আসা পঙ্গপাল ঈশ্বরের কোন এটা লক্ষন/ সতর্কতা। অবশ্যই হতে পারে, কিন্তু আপনি ঈশ্বর মিস্রীয়দের আঘাত করা সেই পঙ্গপালের বাক্যের সঙ্গে, বতর্মান আসা পঙ্গপালের সঙ্গে যুক্ত করতে পারে না। এমনকি অনেক লোক প্রকাশিত বাক্যের ভবিষ্যৎ আসা পঙ্গপালের সঙ্গে ও যুক্ত করছেন। এই বাক্যে সহায়তা নেওয়া হয়; (প্রকাশিত বাক্য ৯:৩)।
সংক্ষেপে প্রকাশিত বাক্যের পঙ্গপালের সম্বন্ধে আলোচনা করা হচ্ছে। প্রথমত সুস্পষ্ট করে দেওয়া হচ্ছে যে, এই বাক্যের পঙ্গপাল এখন আবির্ভাব হবে না। এই পঙ্গপাল প্রভু যীশুর দ্বিতীয় আগমনে পরে হবে। যখন সকল প্রকৃত বিশ্বাসীকে মনুষ্য পুএ (যীশু) স্বর্গে তুলে নিয়ে নেবেন তার পর। এই পঙ্গপালকে সম্বন্ধে বিস্তারিত জানার জন্য আমাদেরকে উপরে ও নিচে বাক্য অধ্যায়ন করা উচিত। আমরা সম্পূর্ণ বাক্য তুলে ধরছি না। সংক্ষেপে বাক্যের সারমর্ম তুলে ধরছি।
১. পঙ্গপালকে কাঁকড়া বিছার মতো ক্ষমতা দেওয়া হবে। যেমন কাঁকড়া বিছা একবার কামড় দিল যা কষ্ট হয় তদ্রুপ তার থেকে অধিক সেই পঙ্গপালের কষ্ট লাগবে। [প্রকাশিত বাক্য ৯:৩]
২. এই পঙ্গপালকে পৃথিবীর কোনো ঘাস অথবা সবুজ কোন কিছু অথবা কোনো গাছের ক্ষতি করবে না। শুধুমাত্র মানুষকে হানী করার জন্য ক্ষমতা দেওয়া হবে।[প্রকাশিত বাক্য ৯:৪]
৩. এই পঙ্গপাল মানুষকে ৫ (পাঁচ) মাস যাতনা দেওয়ার ক্ষমতা প্রদান করা হবে। [প্রকাশিত বাক্য ৯:৫]
৪. এই পঙ্গপালকে দেখতে হবে যুদ্ধের তৈরি ঘোড়ার মতোন। [প্রকাশিত বাক্য ৯:৭]
৫. এই পঙ্গপালের মাথায় সোনার মুকুট মতো ছিল।
[প্রকাশিত বাক্য ৯:৭]
৬. এই পঙ্গপালের মুখ মানুষের মুখের মতো হবে।
[প্রকাশিত বাক্য ৯:৭]
৭. এই পঙ্গপালের চুল স্ত্রী লোকের চুলের মতো।
[প্রকাশিত বাক্য ৯:৮]
৮. এই পঙ্গপালের দাঁত সিংহের দাঁতের মতো।
[প্রকাশিত বাক্য ৯:৮]
৯. এই পঙ্গপালের বুকে লোহার বুক রক্ষার পোশাকের মত পোশাক ছিল। [প্রকাশিত বাক্য ৯:৯]
১০. এই পঙ্গপালের ডানায় শব্দ যেন এক সঙ্গে দৌড়নো রথের মতো। [প্রকাশিত বাক্য ৯:৯]
১১. এই পঙ্গপালের লেজ কাঁকড়া বিছার হুলের মতো। [প্রকাশিত বাক্য ৯:১০]
১২. এই পঙ্গপালের অগাধলোকের এক প্রধান দূত ছিলেন, যার নাম ইব্রীয় ভাষায় আবাদ্দোন ও গ্ৰীক ভাষায় আপল্লূয়োন যা দুই অর্থ( বিনাশক)। [প্রকাশিত বাক্য ৯:১১]
আপনার দেখলেন ভবিষ্যতে আসা পঙ্গপালের বৈশিষ্ট্য, বতর্মান দিনে আসা পঙ্গপাল ও মিসরের আসা পঙ্গপাল থেকে সেই পঙ্গপাল অধিক ভয়ানক। বাইবেলের পঙ্গপাল আর বতর্মান দিনের পঙ্গপাল আকাশ - পাতাল পার্থক্য। আমরা জানলাম প্রকাশিত বাক্যের পঙ্গপালের সঙ্গে একটুও খাপ খায় না। বতর্মান দিনে আসা পঙ্গপালের সঙ্গে বাইবেলের এই পঙ্গপাল যুক্ত করা উচিত নয়। বাইবেল স্পষ্টক্ষরে লিখিত রয়েছে বাইবেলের বাক্যের সঙ্গে অন্য কিছু যোগ করা উচিত নয় যথা; (প্রকাশিত বাক্য ২২:১৮-১৯)।
ঈশ্বর সকলকে আশীর্বাদ করুন।।
0 মন্তব্যসমূহ
আপনাদের কিছু প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই
আমাদের জানান।
ধন্যবাদ ।