Header Ads Widget

Responsive Advertisement

খ্রিস্টানদের কি মেরির কাছে প্রার্থনা করা ঠিক আছে?// Is it Okay for Christians to Pray to Mary?

খ্রিস্টানদের কি মরিয়মের কাছে প্রার্থনা করা উচিত?

লেখকঃ এসো বাইবেল শিখি/ শিখুন।

আজকের শিরোনামের বিষয়টি খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, তাই দয়া করে সবাই পুরো লেখাটি পড়ার চেষ্টা করুন। এছাড়াও আমরা দেখেছি, এই বিষয় নিয়ে খ্রখ্রীষ্ট বিশ্বাসীদের মধ্যে অনেক ভুল ধারণা বা ভুয়া ধারনা আছে। রোমান ক‍্যাথলিক খুবই বুদ্ধিমত্তা সাথে এটিকে এড়িয়ে যাওয়ার জন্য বলেন; নানা আমরা মারিয়া বা মরিয়ম কাছে প্রার্থনা করি না। 

আমরা শুধুমাত্র শ্রদ্ধা বা সন্মান করি কারণ মারিয়া বা মরিয়ম যীশুর মা ছিলেন। রোমান ক্যাথলিক তাদের ভুল শিক্ষা ঠিক প্রমান করার জন্য এমন কিছু উদাহরণ নিয়ে বশে যা বলা যায় না। সেগুলোর মধ্যে একটি অদ্ভুত উদাহরন সংক্ষেপে বর্ণনা করছি। 

রোমান ক্যাথলিকরা বলে যে, আপনি কি আপনার বাবা ও মায়ের ছবি ঘরে রাখেন না!! রেখে কি শ্রদ্ধা করেন না বলুন! তখন বলে ঠিক একই ভাবে আমরা করি। রোমান ক‍্যাথলিকরা যতই বাহানা বানাক বাস্তব তো এটাই যে তারা মারিয়া/মরিয়মের কাছে প্রার্থনাই করেন। যদি না তবে এই প্রার্থনা কেন করা হয়? হে, পূণ্যময়ী মারিয়া ঈশ্বরজননী,আমরা পাপী। এক্ষনে ও আমাদের মৃত্যুকালে আমাদের মঙ্গল  প্রার্থনা কর। আমেন। এটি প্রার্থনা হল না তো কি হল?


অনেকে বলে মারিয়া/মরিয়ম আমাদের মধ্যস্থ কারণ তিনি যীশু খ্রিষ্টের মা ছিলেন। তাদের চিন্তা ধারনা যীশু নিজের মাকে কখনও ফিরিয়ে দিতে পারেন না। সুতরাং যীশুর মা আমাদের মধ্যস্থ হিসাবে কাজ করেন। রোমান ক্যাথলিকদের এটি একটি বিভ্রান্তিকর শিক্ষা। বাইবেলে স্পষ্ট অক্ষরে আমাদের শিক্ষা দেয় স্বয়ং খ্রীষ্টই আমাদের মধ‍্য্যস্ত (১ তীমথিয় ২:৫ইব্রীয় ৯:১৫ইব্রীয় ১২:২৪

আমরা এইসব বাক্যের মাধ্যমে দেখতে পেয়ে থাকি যে, যীশুই একমাত্র মধ্যস্থতাকারী। মরিয়ম কিন্তু মধ্যস্থতাকারী নন। কি ঘটেছিল একদিন! আজ থেকে প্রায় ২০০০ হাজার বছর যখন প্রভু যীশু এই জগতের পাপী মানুষকে পাপ থেকে উদ্ধার করার জন্য এসছিলেন। তখন নিজের লোকেরা মানে যিহূদীরা মিথ‍্যার অজুহাতে রোমীয় শাষক পন্তীয় পিলাতের কাছে মৃত্যুর বাসনা করে ছিল। 

আর পন্তীয় পিলাত প্রভু যীশুকে নির্দোষ পাওয়ার সত‍্যেও প্রভু যীশুর Death warrant লিখে ছিলেন/ দিয়ে ছিলেন। প্রভু যীশুর মৃত‍্যু কার্যকর ক্রুশে হয়েছিল মানে ক্রুশীয় বিদ্ধ করা এবং তিনি মৃত্যু বরণ করেন, কবর প্রাপ্ত হন, পরে তিন দিন পর পুনরায় জীবিত হয়ে উঠেন। কারণ তিনি পরমেশ্বর/ঈশ্বর ছিলেন। মৃত্যুর থেকে জীবিত হয়ে দেখিয়ে ছিলেন যে পরমেশ্বর/ঈশ্বরের মৃত্যু হয় না। পরে তিনি পাঁচশোর অধিক লোকদের দেখা দেন, এবং চল্লিশ দিন পৃথিবীতে থাকার পর সহ শরীর সহিত স্বর্গে তুলে নেওয়ার হয় বা চলে যান। 

তখন আমরা দেখতে পাই অতঃপর যীশুকে যখন স্বর্গে তুল নেওয়া হল, তখন মেঘ তাঁদের দৃষ্টি থেকে তাঁকে আড়াল করে নিল। যীশু যখন স্বর্গে যাচ্ছে, আর তাঁর শিষ্যরা তাকিয়ে আছে, ঠিক সেই সময় হঠাৎ সাদা পোশাক পরা দু’জন পুরুষ তাঁদের পাশে দাঁড়ালেন। আর সেই দুইজন সাদা পোশাক পরা পুরুষ বললেন হে, গালীলীয় লোকরা তোমরা কেন আকাশের দিকে এক দৃষ্টি ভাবে তাকিয়ে আছো? 

এই যে যীশু তোমাদের কাছ থেকে স্বর্গে যেতে দেখলে ঠিক এককই ভাবে আবার আসতে দেখবে। তখন তারা জৈতুন নামক পর্বত থেকে যিরুশালেমে ফিরে গেলেন। তার পর সকল শিষ‍্যরা ও যীশুর মা মরিয়ম তাঁর শিষ্যদের সাথে একমত হয়ে প্রার্থনা করেছিলেন, যেমনটি এই বাক্যেতে বলা হয়েছে যথা; (প্রেরিত ১:১৪)। যখন পঞ্চাশতম দিনে পবিত্র আত্মা পৃথিবীতে স্থায়ীভাবে আসে, এবং মণ্ডলী শুরু হয়। 

তখন মরিয়া/মরিয়ম জীবিত ছিলেন এবং মরিয়া/মরিয়ম যীশুর শিষ্যদের সাথে প্রার্থনা করে ছিলেন যেমন বাক্যে পরিস্কার করে বলে; (প্রেরিত ২:৪২)। আমরা এই বাক্যেয় কি দেখতে পাচ্ছি? এখানে বাক্যটি স্পষ্টভাবে বলে যে, যীশুর মা মরিয়ম নিজেই ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করতেন। মরিয়মের মাধ্যমে কেউ তাঁদের পাপ ক্ষমা করার জন্য প্রার্থনা করেনি যে আমাদের ঈশ্বর/ যীশুকে বলে পাপ ক্ষমা করিয়ে দাও, আর আমাদের প্রয়োজন পূরিয়ে দাও ইত্যাদি ইত্যাদি। বাইবেলে কথাও লেখা নেই, যদি কিছু প্রার্থনায় যাচ্ঞা করার আছে তো আমার মা মারিয়া/ মরিয়মের কাছে প্রার্থনা কর। আর সে আমাকে বলে দিবে, আর আমি তার উওর দিয়ে দেব। এই রকম কোন কিছু লেখা নেই বরং প্রভু যীশু তাঁর নামে প্রার্থনা করতে বলেছেন, উদাহরণস্বরূপ এই সব বাক্যে দেখে নিতে পারেন (যোহন ১৪:১৩-১৪যোহন ১৫:১৬যোহন ১৬:২৩-২৪)। 

এই সব বাক্যেয় প্রভু যীশু স্পষ্ট অক্ষরে বলেছেন; তোমরা আমার নামে প্রার্থনা কর এবং তা আমি পূর্ণ করব যেন পিতা পুএের মহিমা হয়। এখানে প্রভু যীশু তাঁর জাগতিক মা মারিয়া/ মরিয়মের কথাই উল্লেখ করেনি যে, যদি কোন কিছু চাওয়া-পাওয়ার আছে তো আমার মা মরিয়মকে বলে দাও, তারপর সে আমায় জানিয়ে দেবে। 

এখন প্রশ্ন জাগতে পারে এই মারিয়া/ মরিয়মের কাছে প্রার্থনা সিলসিলা কবে থেকে কার মাধ্যমে প্রচলিত হয়? প্রারম্ভিক মণ্ডলীতে মানে যখন মণ্ডলী স্থাপিত হয়েছিল তখন কেউ মারিয়া/মরিয়মের কাছে প্রার্থনা করতো না। এই ব্যবস্থা মণ্ডলী শুরু হওয়ার প্রায় তিনশো (৩০০) বছর পর চালু হয়। সম্রাট কনস্টান্টটাইন সময় থেকে। 

যখন তিনি যীশু খ্রীষ্টের শিষ‍্য ও প্রেরিতদের দ্বারা স্থাপিত করা রোমের মণ্ডলী। পরে ক্ষমতায় আসার পর রোম মণ্ডলীকে রোমান ক‍্যাথলিক মণ্ডলী বানিয়ে দিয়ে ছিলেন। তিনি ওই মণ্ডলী দ্বারা, নিজের রাজনৈতিক ক্ষমতার মাধ্যমে খ্রিস্টানদের এক নতূন রুপ দিয়ে দেন। যা যীশু এবং শিষ‍্য ও প্রেরিতদের শিক্ষা থেকে একদম বিপরীত। 

যখন কেউ ঈশ্বর/ যীশুকে ছেড়ে অন‍্য জনের কাছে প্রার্থনা করে তখন ঈশ্বর/ যীশুর একাকী মহিমা হরণ করা হয়। প্রার্থনা হল উপাসনা করার একটি মাধ্যমে তাই বাক‍্য  স্বয়ং সদাপ্রভু বলেন; আমি আমার গৌরব অন্যকে দিব না। সদাপ্রভু অন্য কোনো প্রতিমার সাথে নিজের গৌরব ভাগাভাগি করতে চান না। (যিশাইয় ৪২:৮

উপসংহারঃ - আমরা দেখলাম সম্পূর্ণ বাইবেলের বাক‍্য থেকে মারিয়া/ মরিয়মের কাছে প্রার্থনা সম্পূর্ণ বাইবেল বিরোধী, বাইবেল কখনও মারিয়া/ মরিয়মের কাছে প্রার্থনা করতে নিদর্শন করে না। সর্বদা যীশুর কাছে প্রার্থনা করতে বলা হয়েছে।

ঈশ্বর সকলে বোঝার মতো জ্ঞান প্রদান করুক।
          আমেন।।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ