মানুষ ও সমস্ত নিরামিশাষী প্রাণী কখন থেকে মাংস খেতে শুরু করেছিল?
লেখকঃ এসো বাইবেল শিখি/ শিখুন।উওরঃ - জলপ্লাবন পরে ঈশ্বর মানুও সমস্ত নিরামিষাশী প্রাণীর জন্য মাংস খাওয়া আদেশ দিয়েছিলেন। আজকের বিষয় বস্তুর উওর হয়তো আপনার কাছে সুস্পষ্ট আছে তবুও এমন অনেক দুর্বল খ্রিষ্টীয় বিশ্বাসী আছে তাদের কাছে এই উওর সুস্পষ্ট নয়, তো তাদের জন্য এই উওর অনেক গুরুত্ব রাখে তো চলুন কথা না বাড়িয়ে সংক্ষেপে উওর জানা যাক।
Photo by Leon Pauleikhoff on Unsplash |
সুতরাং জলপ্লাবন পূর্বে মানুষ ও সমস্ত নিরামিষাশী প্রাণী আহার মাংস ছিল না। মানুষ ও সমস্ত প্রাণীদের ঈশ্বর স্বয়ং তা নোহের জলপ্লাবন পরে মাংস খেতে নির্দেশ দেন যথা; (আদিপুস্তক ৯:২-৩)। এই বাক্য দেখলে যেন মনে হয় শুধুমাত্র নোহের পরিবারকেই বলা হচ্ছে তাই না। তা কিন্তু নয় জীব জন্তদেরকেও বোঝান হয়েছে। অবশ্যই এটা অস্বীকার করা যায় না, ঈশ্বর সমস্ত জীব জন্তদের উপরে মানুষকেই কর্তৃত্ব দিয়েছেন যেমন গীত রচক দায়ূদ ও বলেন যথা; (গীতসংহিতা ৮:৬-৮)। অবশ্যই কর্ত্তৃত্ব মানুষকেই দিয়েছেন কিন্তু মাংস খাওয়ার নিদের্শ সকল জীব-জন্তদের উপরেও প্রযোজ্য হয়। হয়তো এখানে জীব জন্তুর নিয়ে পরিস্কার ভাষায় কোন কিছু উল্লেখ নেই যেমন (আদি ১:৩০) উল্লেখ ছিল। এই ভাবে উল্লেখ নেই এখানে আমাদের শব্দের উপরে ধ্যায়ান দিতে হবে যেমন (আদি ৯:৩) পদে উল্লেখ আছে, তোমাদের খাদ্য হইবে, তোমাদিগকে দিলাম।
এখানে ও শব্দকে দেখলে যেন মনে হয় এই কথা তাদেরকেই বলা হচ্ছে যারা ভাষাকে বুঝতে পারে অর্থাৎ মানুষকেই বলা হচ্ছে মানে নোহের পরিবারকে বলা হয়েছে। অবশ্যই যারা ভাষা বুঝতে পারে তাদেরকেই বোঝান হয়েছে, ভাষা শুধু মানুষই বুঝে তা কিন্তু নয়, জীব-জন্তুরা ও বুঝে। যেই ঈশ্বর সব কিছু সৃষ্টি করলেন আর সেই ঈশ্বরের কথাই সৃষ্টি বুঝতে পারে না তা কি করে সম্ভব তাই না! নিশ্চয় সৃষ্টির প্রত্যেকে জীব সৃষ্টিকর্তার শব্দ বুঝতে সক্ষম ছিল। জীব-জন্তু যে ঈশ্বরের কথা বুঝতে সক্ষম ছিল তা Background দিকে একটু যাওয়া যাক। ঈশ্বর যখন এই পাপে পূর্ণ পৃথিবীকে নষ্ট করতে চাইলেন তখন জীব-জন্তুদের বাঁচিয়ে রাখার জন্য ঈশ্বর নোহকে কি বললেন এই বাক্য দেখুন; (আদিপুস্তক ৬:১৯)।
এই বাক্যতে নোহকে শুধু ঈশ্বরের আজ্ঞা পালন করতে হবে তাকে জীব-জন্তুদের সংগ্ৰহ করতে হবে না, তাকে শুধু প্রবেশ করাতে হবে। আমরা যদিও দেখি তখন পৃথিবী পাপে পূর্ণ ছিল নোহের দ্বারা এটা সম্ভব ছিল না তাই ঈশ্বর নোহকে ভরস দিয়েছিলেন যেমন এই বাক্যে বলে; (আদিপুস্তক ৬:২০)। এখানে আমরা দেখতে পাই নোহকে কিছু করতে হচ্ছে না, নোহের কাছে সব জীবজন্তু চলে আসবে মানে ঈশ্বরের নিদের্শ হিসাবে সকল জীবজন্তু আসবে। আমরা ঈশ্বরের এই বাক্যের পূর্ণতা এই বাক্যেয় দেখতে পাই যথা; (আদিপুস্তক ৭:৮-৯, আদিপুস্তক ৭:১৪-১৬)।
এখানে আমরা দেখতে পাই ঈশ্বরের আজ্ঞা হিসাবে মানে ঈশ্বরের কথা সকল জীবজন্তু বুঝতে পেরে নোহের জাহাজের নিকটে এসছিল। যদি ঈশ্বরের কথা জীবজন্তু বুঝতে পারেনি তো কি করে নোহের জাহাজের নিকটে উপস্থিত হয়েছিল? নিশ্চয় ঈশ্বর কোথা সকল জীবজন্তু বুঝতে সক্ষম ছিল। আপনি যদি দেখেন স্বয়ং ঈশ্বর যখন নিজেকে মানুষের কাছে প্রকাশ করার জন্য পুএ যীশুর মাধ্যমে প্রকাশ করেছিলেন, তখন পুএ ঈশ্বরের কথা এই প্রকৃতি বুঝতে পারত মানে পুএ ঈশ্বরের কাছে বশিভূত হত যা বর্ণিত রয়েছে (মথি ১৪:২২-২৩, মার্ক ৪:৩৫-৪১, ৬:৪৫-৪৬, যোহন ৬:১৫-২১) সুতরাং (আদিপুস্তক ৯:৩ পদ) ঈশ্বরের এই শব্দ তোমাদের খাদ্য হইবে, তোমাদের দিলাম এই শব্দ মানুষ ও জীবজন্তু উভয়ের উপরে প্রযোজ্য হয়, কিন্তু মানুষ মাংস খাওয়ার উপরে ঈশ্বর কিছু শর্ত রেখেছেন মাংস কিভাবে খাওয়া উচিত বলে তা এই বাক্যে দেখে নিতে পারেন যথা; (আদিপুস্তক ৯:৪)।
শর্ত শুধুমাত্র মানুষকে দিয়েছেন, জীবজন্তুদের জন্য নয়। সুতরাং জলপ্লাবন পরে ঈশ্বরের নিদের্শ হিসেবে মানুষ ও সমস্ত নিরামিষাশী প্রাণী মাংস খেতে শুরু করেছিল।
0 মন্তব্যসমূহ
আপনাদের কিছু প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই
আমাদের জানান।
ধন্যবাদ ।