খ্রিষ্টের প্রথম ক্রুশীয় বানী তাৎপর্য কি?
লেখকঃ এসো বাইবেল শিখি/ শিখুন।
আজ আমরা প্রভু যীশু যে ক্রুশে ছিলো, যিনি অত্যন্ত বেদনার সাথে সপ্তম বানী বলেছিলেন। সপ্তম বানীর মধ্যে একটি যেটি যীশুর প্রথম বানী হিসেবে পরিচিত। সেই প্রথম বানীর মহত্ত্ব বাইবেল ভিত্তিক তার অর্থ জানার জন্য চেষ্টা করি, যে যীশুর প্রথম বানী তাৎপর্য কি খ্রীষ্টে প্রিয় ভাই ও বোনেরা দেরি না করে আলোচনা দিকে চাই।
ভূমিকাঃ- মানব ইতিহাসে প্রভু যীশুর মৃত্যু অত্যান্ত বেদনা জনক মৃত্যু ছিল। যেই সৃষ্টিকর্তা জগতের তন্য মধ্যস্থ সব কিছু সৃষ্টি করলেন। সৃষ্টির অতি উওম “মানুষ” যখন পাপ করার ফলে সৃষ্টিকর্তা থেকে দূর হয়ে যায়।
ঈশ্বর মানুষকে পাপ থেকে বাঁচানোর জন্য একটি পরিকল্পনা করেছিলেন। পাপী মানুষের কাছে নিজেকে প্রকাশ করার জন্য, যথা সময়ে প্রভু যীশু খ্রীষ্ট মানবদেহে আসলেন।
কিন্তু সেই সৃষ্টিকর্তা মানে মানবপুএ যীশু নির্দোষ থাকার সত্বেও জগত তাঁকে ক্রুশে দিয়ে দেয়, তখন যীশু খ্রীষ্টের ক্রুশ থেকে প্রথম বানী, বলেছিলেন যা এই বাক্যেয় বলা হয়েছে; (লূক ২৩:৩৪)।
প্রথম বানীর তাৎপর্য
এখানে আমরা দেখতে পাচ্ছি প্রভু যীশু নিজে পাপ ক্ষমা করছেন না। কিন্তু প্রভু যীশু খ্রীষ্ট সরাসরি পিতা ঈশ্বরের কাছে মানুষের পাপের জন্য ক্ষমা চাইছেন।কারণ, তিনি তখন আমার আপনার পাপের ভারে জর্জরিত। তিনি চোর, লম্পট, সন্ত্রাসবাদী, ব্যাশা, দূর্নিতীবাজ, অপহরনকারী সবধরনের পাপের দায় নিলেন।
অতঃপর ঈশ্বরের সাথে তার সম্পর্ক কিছু সময়ের জন্য ছিন্ন হয়ে যায়। এরপর তিনি হয়ে ওঠেন সাধারণ মানুষ। মানুষ কখনো মানুষের পাপ ক্ষমা করতে পারে না। তাই সেদিন তিনি সরাসরি ঈশ্বর পিতার কাছে মানুষের পাপের জন্য ক্ষমা চেয়েছিলেন। প্রভু যীশু খ্রীষ্ট এই বাণীতে দেখতে পাই তিনি বলেন; “পিতা, এদেরকে ক্ষমা কর” এদেরকে দিয়ে প্রভু যীশু খ্রীষ্ট কাদের বুঝিয়েছেন? প্রভু যীশু কেবলমাত্র সেই সময়ে যারা তাঁকে ক্রুশে নিক্ষেপ করেছিল তাদের বুঝিয়েছিলেন! অর্থাৎ রোমীয় সৈন্যদের, ফরীশীদের, সদ্দূকীদের, অধ্যাপকদের কি? না তা কিন্তু নয়। প্রভু যীশু এই বানী দ্বারা সর্ব্বকালের, সর্ব্বযুগের, সর্ব্বজাতির মানুষকে বুঝিয়েছেন। বর্তমানে আমরাও সেই ক্ষমার অর্ন্তভূক্ত। আজ তিনি আমাদের পাপে আবদ্ধ। অবাধ্য মানুষের জন্য পিতা ঈশ্বরের কাছে
উপসংহার:
- প্রথমত; বিশ্বাসীদের ক্ষমা করতে শেখায়। একদিন প্রভু যীশুর পরিচর্যার সময়, পিতর প্রভু যীশুকে জিজ্ঞাসা করলেন আচ্ছা, আমার ভাই যদি পাপ করে তবে আমি কতবার ক্ষমা করব? কি সাতবার পয্যর্ন্ত? উওরের প্রভু যীশু কি বলেছিলেন সত্তর গুণ সাত বার পর্যন্তপর্যন্ত (মথি ১৮:২২) ক্ষমার বিষয় একই শিক্ষা সকল শিষ্যগণকে শিক্ষা প্রদান করেছিলেন; (লূক ১৭:৪)। এই একই বিষয়টি পৌল বারবার খ্রিস্ট বিশ্বাসীদের উদাহরণ হিসাবে এই বাক্যগুলিতে ব্যাখ্যা করেছেন; (ইফিষীয় ৪:৩২, কলসীয় ৩:১৩)। প্রভু যীশু যখন শিষ্যদের প্রার্থনা করতে শিখিয়েছিলেন, তখন তিনি ক্ষমার কথাও উল্লেখ করেছিলেন।
- দ্বিতীয়ত; প্রভু যীশুর এই বানী দ্বারা বিশ্বাসীদের প্রেম করতে শিক্ষা প্রদান করে। প্রিয় ভ্রান্ত হবেনা। মনে মনে লাড়ু খেয়ে না ফেলেন যদি আপনি যুবক ও যুবতী হোন। আমি জাগতিক প্রেমের কথা বলছি না। যেটাতে শারীরিক আশা-আকাঙ্ক্ষা থাকে। আমি এখানে প্রভুর প্রেমের কথা বলছি। যেই প্রেমের জন্য স্বয়ং প্রভু যীশু আপনার জন্য নির্দোষ হয়ে পিতার কাছে অনুরোধ করেছিল। “পিতা এদের ক্ষমা কর, এরা কি করতেছে তাহা জানে না”। প্রভু যীশু এখানে প্রেম দেখাচ্ছেন। শত্রুদের আমাদের ভালোবাসতে শিখিয়েছেন। এই কথার মাধ্যমে প্রভু যীশু মূসার আজ্ঞার একটি অংশ পূর্ণতা দেখিয়েছিলেন। যা বর্ণিত আছে (লেবীয় ১৯:১৮)।
- তৃতীয়ত; প্রভু যীশু এই বাণীর দ্বারা প্রার্থনার মহত্ত্ব ব্যাখ্যা করেছেন। তিনি প্রার্থনা দিয়ে মিনিস্ট্রি শুরু করেন (লূক ৩:২১)। এবং তিনি প্রার্থনা দ্বারা মিনিস্ট্রি শেষ করেন। এছাড়াও শত্রুদের জন্য প্রার্থনা করা শিখেছিলেন।
বাইবেল হিসেবে এই বানীকে “ক্ষমার বানী” বলা হয়। প্রভু যীশু খ্রীষ্টের এই প্রথম বানী পাপী মানুষের জন্য একটি প্রার্থনা ছিল। এই প্রথম বানীকে যদি আমরা কিছু খন্ডিতকরণ করি তাহলে দেখতে পাওয়া যায় কিছু শব্দ যেমন, পিতা, ইহাদিগকে, ইহারা জানে না। প্রভু যীশু ক্রুশে উপর থেকে বললেন, “পিতা এদের ক্ষমা কর”। প্রভু যীশুর এই উক্তি দিয়ে তিনি ঈশ্বরের সহিত তাঁর সম্পর্ক প্রকাশ করলেন।
তিনি ঈশ্বরের পুত্র ছিলেন কারণ তিনি ঈশ্বরকে পিতা বলে আহ্বান করলেন। আমরা জানি প্রভু যীশু খ্রীষ্টের পাপ ক্ষমা করার ক্ষমতা আছে। যেমন বাক্য বলে; (মথি ৯:৬) এছাড়া প্রভু যীশু খ্রীষ্ট পৃথিবীতে থাকার অবস্থায় অনেকের পাপও ক্ষমা করেছেন যেমন এই সব বাক্যে পড়লে বোঝা যায়; (মথি ৯:২, লূক ৭:৪৮, যোহন ৮:১১)
0 মন্তব্যসমূহ
আপনাদের কিছু প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই
আমাদের জানান।
ধন্যবাদ ।