লেখকঃ এসো বাইবেল শিখি/ শিখুন।
ঈশ্বর মানুষকে পুরুষ ও মহিলা হিসেবে সৃষ্টি করেছেন। এর মানে পুরুষ ও মহিলা আলাদা। এই কারণে জন্যই মানুষ এক এর অপরের দ্বারা সম্পূর্ণ হয়ে উঠে। নচেৎ মানুষ একের উপরে ছাড়া অসম্পূর্ণ থেকে যেত। যদি না ঈশ্বর পুরুষের জন্য স্ত্রী, আর স্ত্রীর জন্য পুরুষকে সৃষ্টি না করতেন। তাই ঈশ্বর প্রথম মানুষ আদম ও হবাকে বলেছিলেন; “এই কারণে মানুষ তার পিতা-মাতাকে ছেড়ে তার স্ত্রীর মিলিত হবে এবং তারা এক হয়ে যাবে।” (আদিপুস্তক ২:২৪)। এই বাক্যেয় লোকদের ভ্রান্ত বা ভুল ধারণা আছে, তারা বলে যদি পৃথিবীতে আদম ও হবাকে এই দুইজনকে ছাড়া আর কেউ ছিল না! তাহলে কেন ঈশ্বর আদম ও হাবাকে পিতা-মাতার কথা বলছিলেন? এ বিষয়টি এখানে আলোচনা করা হচ্ছে না। যদি এই বিষয়টি ক্রমে ক্রমে আলোচনা করা হয়, তাহলে লেখাটি অনেক বড় হবে। আমরা জানি বড়ো লেখা হলে বহু লোক খুব কষ্টে ঠেলে-ঠুলে লেখাটি পড়ার চেষ্টা করে। ঈশ্বর মানুষকে পুরুষ ও মহিলা হিসেবে সৃষ্টি করেছেন। এর মানে পুরুষ ও মহিলা আলাদা।
হ্যাঁ এখানে অধিকার বা প্রাপ্য বিষয়ে চলে আসে। আমরা দেখেছিলাম ঈশ্বর পুরুষ এবং নারী সম্পূর্ণরূপে আলাদাভাবে সৃষ্টি করেছেন। পুরুষ ও ছেলেদের মধ্যে অনেক শক্তি/ বল থাকে, আর নারী/ মেয়েদের প্রচুর মায়া, মমতা, ভালবাসা, স্নেহ থাকে।
মহিলাদের কেমন ধরনের পোশাক পরা উচিত
যেই ঈশ্বর নারীর সৃষ্টি করেছেন, সেই ঈশ্বরই জানেন, একজন নারীর সাজসজ্জার প্রকৃতি অর্থাৎ একজন নারীকে কেমন ধরনের কাপড়-চোপড় দিয়ে নিজের শরীর ঢেকে রাখা উচিত। অর্থাৎ খ্রিস্টান মহিলাদের কেমন ধরনের পোশাক পরা উচিত ঈশ্বর এই বাক্যটিতে স্পষ্টভাবে বলেছেন, একজন নারী কি ধরনের পোশাক পরা উচিত; (১ তীমথিয় ২:৯-১০)। এখানে বাক্যে কি বলেছিল কি! এখানে বাক্যে বলেছে অর্থাৎ ঈশ্বর বলছেন যে, সলজ্জ ও সুবুদ্ধি ভাবে পরিপাটি বেশে আপনাদেরকে ভূষিতা করুক, অর্থাৎ যে পোশাকটি বিনয়, ন্যায়পরায়ণতা, সুশিলতা, নম্রতা, শালীনতা বা সাধারণ ধরনের পোশাকে বোঝায়। আচ্ছা! আপনারা বলেন; টাইট জিন্স, ছোট পোশাক, যেই পোশাকে মেয়েদের স্তনযুগল, বক্ষযুগল দেখা যায়, এই পোশাকেতে বিনয়, ভদ্রতা, শালীনতা, লাজ্জুকতা, নম্রতা, পবিত্রতা, সুশীলতা, সুচরিতা দেখতে পাওয়া যায় কি? নিশ্চয়ই না। বর্তমান সময়ের খ্রিস্টান নারীদের জন্য বাইবেলের এই বাক্যগুলো খুবই কঠিন মনে হতে পারে। বিশেষ করে আমাদের তরুণীদের ক্ষেত্রে এই প্রভাব বেশী প্রভাব ফেলে, কিন্তু আপনাকে বলি যে, ঈশ্বর মানুষের জন্য যা কিছু নির্ধারণ করেছেন তা মানুষের ভালোর জন্যই করেছেন।
মহিলাদের পোশাক নিয়ে পিতরে বক্তব্য
এই কথা পিতর ও তাঁর পএে এই বাক্যটি বর্ণনা করেছিলেন যা এই বাক্যেয় সুস্পষ্ট ভাবে দেখতে পাওয়া যায়; (১ পিতর ৩:৩-৪)। এই বাক্যেটিতে পিতর বলেছিলেন যে ব্যক্তি তার মাথায় নানা ধরনের চুলের খোঁপা দেয়, নানা ধরনের গয়না গাটি পরে এবং নানা ধরনের পোশাক পরে, পিতর বলেছিলেন, এগুলো নশ্বর ভূষণ। এই সবকিছু নয়, নিজেকে এমনভাবে সাজানো প্রয়োজন যা ঈশ্বরের চোখে অনেক মূল্যবান যা কখনও দেখা যায় না যেটি নম্রতা বা প্রশান্ত স্বভাব বোঝায়। পৌল ও পিতরের কথার হিসেবে অনেক খ্রিস্টান মহিলা প্রশ্ন তুলেন যে, এটি তখনকার দিনের জন্য বলা হয়েছে। এখনকার দিনের জন্য নয়। কারণ বর্তমান সমাজ উন্নতি হয়েছে। বর্তমান সমাজে এমন পরিবর্তন ঘটেছে, যেটির এখন প্রয়োজন নেই। আপনাদের বলি তা কিন্তু নয়। বাইবেল বলেনি যখন সমাজ বদলাবে, তখন বাইবেল থেকে কিছু পরিবর্তন করে নাও, ঈশ্বরের বাক্যগুলি পালন করতে হবে না! বাইবেলের বাক্যে পরিস্কারভাবে বলে, বাইবেলে যা লেখা হয়েছে তা কখন পরিবর্তন করা যাবে না; (মথি ২৪:৩৫, ১ পিতর ১: ২৪-২৫)।
ঈশ্বরের বাক্য কখনোই বদলাবে না, এবং কখনও বদলে যাবে না। যারা বাইবেলের বাক্যে পরিবর্তন করার চেষ্টা করে বা কিছু যোগ করার চেষ্টা করে, বা বাইবেলের বাক্যে থেকে কিছু বাদ দেওয়ার ও চেষ্টা করে, বাইবেল স্পষ্টভাবে বলেছে; তাঁদের সমস্ত আঘাত তাঁর জীবনে যোগ করবে, এবং জীবন গাছ ও পবিত্র নগর থেকেও সেই ব্যক্তিকে সরিয়ে দেবেন অর্থাৎ জলন্ত আগুন নরকের দণ্ড দিবেন (প্রকাশিত বাক্যে ২২:১৮-১৯)। পবিত্র বাইবেলে এই কথাগুলি এমনিই উল্লেখ করা হয়নি। বাইবেল প্রত্যেকটি কথা চিরন্তন সত্য ও পরিক্ষা মূলক লিখিত হয়েছে। আগে বিদেশে এই সমস্যা চলত, কিন্তু এখন আমাদের দেশেও দেখতে পাচ্ছি। কারণ দিনের পরদিন সমাজ ধীরে ধীরে এতো উন্নত হচ্ছে যে, বাইবেলের বাক্যেকে ধিক্কার করে সকলে যুগের সাথে হাতেহাত মিলিয়ে চলতে শুরু করে দিয়েছে। যেই নারী বা মেয়েরা ঈশ্বরের বাক্যকে একমাত্র সম্পদ বলে মনে করে। ঈশ্বরের এই বাক্যগুলোকে এত কঠিন বলে মনে করবে না। এমনকি এই পৃথিবীর মানুষকে দেখে কখনো কষ্ট হবে না যে, সে এমন কাপড় পড়েছে বলে!
ঈশ্বর, বাইবেলের মাধ্যমে যেই পোশাক তাকে নিয়ো যোগ করে দিয়েছেন তাতেই সেই মহিলা সন্তুষ্ট থাকবে। এবং সেই মহিলাকে ঈশ্বর তার জন্য যে পোশাক দিয়েছেন তাতে সুন্দর ভাবে সাজতে পছন্দ করবে।
মহিলাদের কি মন্ডলী (চার্চ) ফ্লিম স্টাইল পোশাক পরা উচিত
বিশেষ করে আমার প্রিয় বোনদের উদ্দেশ্যে একটি কথা বলে দেওয়া ভালো, মন্ডলীতে ফ্লিম স্টাইল পোশাক না পরাই ভালো। কারণ মন্ডলী ঈশ্বরের আরাধনা বা বাইবেলের শেখার জায়গা। নিজের শোভা দেখানোর জায়গা নয়। তাছাড়া মন্ডলীতে পুরুষরা ও আসে। ওই মহিলার সাজগোজ প্রকৃতি দেখে অন্য পুরুষ বা ছেলে আকর্ষণ হতে পারে অর্থাৎ সেই মহিলা বা মেয়েটি পোশাক কারণে অন্য পুরুষ বা ছেলেদের আকৃষ্ট হতে পারে। তাই এই রকম পোশাক না পরলেই ভালো হয়। পুরুষদের উদ্দেশ্যে যারা বিঘন্য স্বরূপ, ঈশ্বর তাদের শাস্তি দিয়ে থাকেন এই বাক্যে স্বরূপ; (মথি ১৮:৭)। অবশেষে বাইবেলে একটি বাস্তব কথা দিয়ে শেষ করি।
আদম ও হবা স্বাধীন ইচ্ছা
একটু আগের দুনিয়ার ফিরে তাকান। দেখা যাবে ঈশ্বর, আদম ও হবাকে একটি নির্দেশ দিয়েছিলেন। যা সদসদ- জ্ঞানদায়ক গাছের ফল খেতে বারণ করেছিলেন, কিন্তু আদম ও হবা ঈশ্বরের আদেশ অমান্য করেন। ঈশ্বরের নিদের্শ অমান্য করার ফলে কী ঘটেছিল তা আপনারা ভালভাবেই জানেন। ঈশ্বর, বাইবেলে নারীদের চরিত্রার পবিত্র দেখার জন্য নীতি ও নিয়ম দিয়েছেন। যেমন আদম ও হবা নিজেদের পছন্দ করার অধিকার পেয়েছিলেন। একই ভাবেই আপনাকে স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। আপনার ইচ্ছা নিজেকে ঈশ্বরের বাক্যের হিসাবে সাজতে চান নাকি নিজের ইচ্ছায়! বাইবেলের একটি সুন্দর বাক্য; (১ যোহন ২: ৪)।
উপসংহার
খ্রীষ্টতে ভাইবোনেরা ঈশ্বর, খ্রিস্টান মহিলাদের কেমন ধরনের পোশাক পরা উচিত তা তাঁর দাসদের মাধ্যমে আমাদের সুন্দর একটি শিক্ষা দিলেন। এবং ঈশ্বর বলছেন যেনো একজন খ্রীষ্ট বিশ্বাসী মহিলা জাগতিক থেকে অধিক আত্মিকভাবে সাজগোজ করুক। এবং বাইবেলের বাক্যে হিসেবে সাজগোজ করুক।
ঈশ্বর সবাইকে আশীর্বাদ করুন। আমেন।।
1 মন্তব্যসমূহ
Good Post
উত্তরমুছুনআপনাদের কিছু প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই
আমাদের জানান।
ধন্যবাদ ।